আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের আজকের এই দিনে ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে মারা যান তিনি। টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাঁর দাফন হয়।
ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম রাজনীতিবিদ ছিলেন তিনি। সাতচল্লিশে পাকিস্তান সৃষ্টি ও একাত্তরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ছিল তাঁর বড় অবদান। চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট গঠনেও ছিলেন সামনের সারিতে। রাজনৈতিক জীবনে ছিলেন বামধারার অনুসারী। কৃষকদের জন্য পূর্ব পাকিস্তান কৃষক পার্টি করে মাওলানা ভাসানী দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতিও ছিলেন মাওলানা ভাসানী।
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অধিকারবঞ্চিত, অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মাওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও তার জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতিও ছিলেন।
নেতানিয়াহুর বাড়িতে ফ্ল্যাশ বোমা নিক্ষেপনেতানিয়াহুর বাড়িতে ফ্ল্যাশ বোমা নিক্ষেপ
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সন্তোষে এই মজলুম জননেতার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতার শুরু করেছে ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এছাড়া তার পরিবার, ভক্ত, রাজনীতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।
এছাড়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কথা রয়েছে।
মজলুম এই জননেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মসজিদে দোয়া মাহফিল করা হচ্ছে।