নুরুল হক শিপু ::
বাবা মাসুক উদ্দিন। ছেলে তামিম আহমদ। দুজনই সভাপতি। ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে ছেলে বহির্বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দায়িত্ব পালন করছেন যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে। বাবা মাসুক উদ্দিন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতার সংগ্রামে। বেঁচে ফিরেছেন দেশ মাতৃকার জন্য অস্ত্র হাতে নেওয়া নিবেদিত এ মানুষটি। দীর্ঘদিন ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। সিলেটজুড়ে তাঁর নাম আলোচিত হচ্ছিল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে। নগরে তাঁরই ছোটভাই সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন হবেন সভাপতি-এমন আলোচনারও শেষ ছিল না। এমনও আলোচনা হয়েছে-জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আসীন হবেন আপন এ দুইভাই। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বড় চমক ছিলেন মাসুক উদ্দিন। তবে গণেশ ছিল ভিন্ন। জেলায় নয়; মাসুক উদ্দিন আহমদকে দায়িত্ব দেওয়া হয় মহানগরের সভাপতি হিসেবে। আর তা সম্পূর্ণই দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত ছিল। দলের হাইকমান্ড এমনটিই তখন জানিয়েছিল। এখন আলোচনা হচ্ছে ছোটভাই আসাদ উদ্দিনের নিবেদিত রাজনীতির উপহার আগামীতে হয়তোবা আরো বড় চমক দিবে সিলেটের মানুষকে। অবশ্য পদশূন্য আসাদ উদ্দিন দলীয় প্রধানের উপর নিরাশ ছিলেন না কখনো। আসাদ কোনো পদে আসীন না হয়ে তখনই পরিস্কার মন্তব্য করেছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা অবশ্যই তাঁর মঙ্গলের জন্য নিয়েছেন।
এদিকে, আপন বড়ভাই মাসুক উদ্দিন ও ভাতিজা তামিম আহমদের সাথে আসাদ উদ্দিনের রাজনৈতিক টিউনিং খুবই ভালো। বাবা ও চাচার মতোই প্রচারবিমুখ তামিমও। তামিম ছিলেন, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য। ক্লিন ইমেজ আর পরিশ্রমী ছাত্রনেতা হওয়ায় যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সভাপতি পদটি ছিল তাঁর জন্য শেখ হাসিনার বড় উপহার।
করোনার এই মহাবিপর্যয়কালীন সময়ে বাবা, চাচা সাথে নিজের অবস্থান থেকে অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করছেন তামিমও।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন ইতোমধ্যে হাজারো পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে দিয়েছেন খাদ্যসহায়তা। আসাদ উদ্দিন অসহায় ও মধ্যবিত্তের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারা পারিবারিকভাবে চালু করেছেন টেলি যোগাযোগের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা।
যুক্তরাজ্যে অবস্থান করে বাবা-চাচার সাথে দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন তামিমও। এখন পর্যন্ত চিকিৎসক, পুলিশ সাংবাদিকসহ অনেকের পাশে দাঁড়িয়ে একজন মানবিক ছাত্রনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। বাবা, চাচার পথেই হাঁটছেন এ ছাত্রনেতা।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে নিজেকে তুলে ধরতে তিনি রাজনীতি করেন না। তিনি এককথায় বলেন, রাজনীতি হোক মানবের কল্যাণে। মানুষের মনে স্থান পেতে মানুষের জন্য কাজ করতে হয়।’
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন শুধু আমার বড়ভাই নন; তিনি আমার রাজনৈতিক অভিভাবকও। করোনাকালে পারিবারিকভাবে আমরা মানুষের পাশে থেকে কাজ করার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, ভাতিজা তামিমও তাঁর অবস্থান থেকে কাজ করছে।’
যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সভাপতি তামিম আহমদ বলেন, ‘আমার কোনো মন্তব্য নেই। একটি কথা বলব, আমি দেশরত্ন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের রাজনীতির শিক্ষা অর্জন করেছি আমার পরিবার থেকে। আমার গর্ভধারিণী মা মরহুমা রেহানা আহমদ ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদিকা। আমার বাবা মাসুক উদ্দিন আহমদ, চাচা আসাদ উদ্দিন আহমদ, চাচা আতা উদ্দিন আহমদ ও বদর উদ্দিন আহমদ আমাকে ছোট থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির শিক্ষা দিয়েছেন। যতোদিন বেঁচে থাকব বাবা-চাচাদের দেখানো পথে জাতির পিতার আদর্শ ধারণ ও লালন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাশীল হয়ে একজন নগন্য কর্মী হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখব।’