• ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পিলখানা হত্যার বদলা চান আয়না ঘর থেকে ফিরে আসা আযমী

bijoy71news
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪
পিলখানা হত্যার বদলা চান আয়না ঘর থেকে ফিরে আসা আযমী

পিলখানা বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের বদলা চান হা‌সিনা সরকারের আয়না ঘর নামক ব‌ন্দিশালায় দীর্ঘ ৮ বছর গুম থাকার পর ফিরে আসা সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী।

তি‌নি বলেন, কুরআনে আছে খুনের বদলে খুন। তদন্ত করে এ হত‌্যাকা‌ণ্ডের বিচারের আহ্বান জানাই৷ বিগত সরকারের আমলে যারা তদন্ত করেছে তারা যদি দায়সারা ভাবে করে, তাও খ‌তি‌য়ে দেখ‌তে হ‌বে।

আবদুল্লাহিল আমান আযমী
ঙঙঙ৮ বছর গুম থাকার পর গত ৭ আগস্ট পরিবারের কাছে ফিরেন।

মঙ্গলবার (৩ সে‌প্টেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আয়না ঘ‌রের বর্ণনা করতে গি‌য়ে তি‌নি এ আহবান জানান।

তিনি বলেন, দেশের সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে৷ নতুন সরকার এই প্রতিষ্ঠানগুলো ঢেলে সাজাবে বলে আমি বিশ্বাস করি৷

সাদা পোষা‌কে তু‌লে নেয়ার বর্ননায় আযমী বলেন, ‌‘যখন আমার বাসায় তারা আসল তখন তাদের কাছে আমি জানতে চেয়েছিলাম আপনারা কারা, পরিচয় কী, পরিচয়পত্র দেখান। তারা আমার কথার জবাব দেননি। আমি বেশ কিছু প্রশ্ন করেছি তারা কোনো কথার জবাব দেননি। এক অফিসার আমাকে তুই করে সম্বোধন করে। আমার সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে আমাকে গ্রেফতার করে গাড়িতে নিয়ে চোখ বেঁধে দেয়। সে সময় আমাকে ও সেনাবাহিনীকে নিয়ে খুবই খারাপ ব্যবহার করে।’

তিনি বলনে, ‌‘আমি ফিরে এসে জানতে পারলাম আমার পরিবারের ওপর তারা কী পরিমাণ নির্যাতন চালিয়েছে। আমার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতে চেয়েছিল তারা। এক পর্যায়ে আমার স্ত্রীকে তুলে নিতে চাইলে স্ত্রী আমার মাকে সঙ্গে নিতে বলে তখন তারা তাকে নেয়নি। এ সময় আমার বাড়ির যুবতী কাজের মেয়ের ওপর হাত চালিয়েছে। বাসার ম্যানেজার ও দারোয়ানসহ সবাইয়ের ওপর তারা হামলা চালায়।’

তিনি বলেন, ‘আমার চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় একটা জায়গায় নিয়ে গেল। তারা আমাকে পোশাক দিল। রাতে আমাকে খাবার দেয় কিন্তু খাওয়ার মতো অবস্থায় ছিলাম না। টয়লেট যেতে চাইলে তারা আমার চোখ-হাত বেঁধে নিয়ে যেত। প্রায় ৫০ কদম হাঁটার পর টয়লেটে যেতাম।’

সাবেক ব্রিগেডিয়ার বলেন, ‘বারবার মনে হতো তারা হয়ত আমাকে ক্রস ফায়ার করে হত্যা করবে। আমি রাতে তাহাজ্জত পড়ে আল্লাহর কাছে শুধু কান্না করতাম আল্লাহ আমার লাশটা যেন কুকুরদের খাদ্যে পরিণত না হয়। আমার লাশটা যেন আমার পরিবারের কাছে যায়। সব সময় এ দোয়াটাই করতাম।’