• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

মানবিক এক সাংসদ সামাদ চৌধুরী

bijoy71news
প্রকাশিত এপ্রিল ১৯, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
সিলেট-৩ আসনের এমপি মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী মানবতার কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বর্তমান সময়ে অনেকেই তাঁর এই মানবসেবা নিয়ে প্রশংসা করছেন। জনগণের কাছাকাছি থেকে কঠিন এ সময়ে কাজ করা সামাদ চৌধুরী শেষ পর্যন্ত মানুষের পাশেই থাকবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
সূত্র মতে, সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগে বিভক্তি রয়েছে। এমপি বিরোধীরা যেমন তাঁকে ছাড়া নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন-সামাদ চৌধুরীও তাদের ব্যাপারে সবসময় ছিলেন ডেমকেয়ার। আর এভাবেই তিনি ৩ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
সিলেটের ৬টি আসনের মধ্যে তিনিই বেশি আলোচিত এমপি। নিজ দলের বিদ্রোহী নেতারা একাধিকবার তাঁর সমালোচনা করে সভা-সমাবেশ এমনকি সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। সামাদ চৌধুরী তা কখনই পাত্তা দেননি। সর্বশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে আমারো নৌকা পেয়ে নির্বাচিত হয়ে কৌশলে সবাইকে সমালোচনার জবাব দেন তিনি। তবে এবার সব আলোচনা-সমালোচনাকে চাপিয়ে সামাদ চৌধুরী তাঁর নির্বাচনি এলাকায় এক মানবিক রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
সামাদ চৌধুরী পারিবারিকভাবেই বিত্তবান। তাঁর পুরো পরিবার যুক্তরাজ্য প্রবাসী এবং সেখানে তাদের বিপুল অর্থবিত্ত রয়েছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে ঢাকার অনেকগুলো গার্মেন্স, ফেক্টরির মালিক।
সিলেট-৩ আসনের মানুষের উদ্যোশে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন-‘যতক্ষণ তার সম্পদ থাকবে ততক্ষণ জনগণের পাশে থেকে তা বিলিয়ে দেবেন।’
মহামারী নভেল করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯-এর কারণে সারা দেশে সাধারণ ছুটিতে জনজীবন বিপর্যন্ত। নিম্ন আয়ের মানুষেরা রয়েছেন সরকারি ত্রাণ সাহায্যের অপেক্ষায়। আশা করছেন তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসবেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
অথচ দেশের বেশিরভাগ সংসদ সদস্যই নেই নিজের সংসদীয় এলাকায়। আবার অনেকে এলাকায় থাকলেও খোঁজ রাখছেন না অসহায় মানুষের।
এক্ষেত্রে সিলেট-৩ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন।
আসনটি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নিয়ে গঠিত।
২২ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার কয়েকদিন আগে তিনি ঢাকা থেকে এলাকায় আসেন আর তারপর থেকে এলাকাতেই আছেন।
কেবলমাত্র সরকারি ত্রাণ সহায়তা বণ্টন নয়, নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ, তিনটি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করা, স্থানীয় প্রশাসনকে পরামর্শ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণসহ নানা কাজে সরাসরি নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন সারাদিন।
তারই ধারাবাহিক গত বৃহস্পতিবার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদরে একটি বাজারের আয়োজন করেন। যেখানে সবজি-মাছ-তেল-লবণ বিতরণ করা হয়।
এমপি সামাদ চৌধুরী শুধুমাত্র সরকারি সাহায্য নিশ্চিত করছেন না, ব্যক্তিগত খাত থেকেও এখন পর্যন্ত ৩৫ লাখ টাকার উপরে ত্রাণ সহায়তা করছেন। শুধু দরিদ্র জনগোষ্ঠী নয়, বেদে, গাড়িচালক, চা-শ্রমিক থেকে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ যারা কাজের অভাবে সংকটে আছেন, তাদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন এ সাংসদ। প্রবাসে আছেন এমন একশ পরিবারকে একমাসের খাবার দিয়েছেন এ এমপি।
সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বলেন, ‘১৯৭০ সালে নোয়াখালীতে সাইক্লোন ও টর্নেডো হয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ এ সময় প্রাণ হারান। আমি তখন দশম শ্রেণির ছাত্র। তখনই স্কাউট সদস্য হিসেবে নোয়াখালীতে গিয়েছিলাম ত্রাণসামগ্রী নিয়ে। সেই থেকে শুরু আর আজ পর্যন্ত সব দুর্যোগে মানুষের পাশে আছি। তিনি বলেন, পুরো সিলেট-৩ আসন আমার একটি পরিবার। এখন আমার একটি ভাবনা এতো বড় পরিবারের সদস্যদের কীভাবে ভালো রাখব। তবে কথা দিচ্ছি-শেষ সম্পদটুকু থাকা পর্যন্ত মানুষের পাশ থেকে সরে যা না।’ উল্লেখ্য, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে একই দলের হয়ে ২০১৪ ও ২০১৯ সালেও সংসদ সদস্য হন।