নিজস্ব প্রতিবেদক ::
টানা চারবারের কাউন্সিলর। মেয়রের দৌঁড়েও ছিল তাঁর নাম। দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকা মানুষটি আজ একা একটি ঘরে বসবাস করছেন। কীভাবে কি হলো নিজেই জানেন না। করোনাকালের শুরু থেকেই মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া মানুষটি সর্বোচ্চ সতর্কতাও অবলম্বন করেছেন। দিন অথবা রাত, যখন যেখানে সাহায্য প্রয়োজন ছুটে গেছেন। তাঁর এমন পরিশ্রম তাঁকে অনেক উপাদি দিয়েছ। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল তাঁর গুনগানে ভরপুর। কেউ বলেছেন, মানবিক মানব, কেউবা জনতার নেতা, কেউ বলেছন, মানবতার ফেরিওয়ালা, কেউ বলেছেন স্যালুট নেতা। এরই মধ্যে নিজেই হয়ে গেছেন সংক্রমিত। তিনি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।
২৪ মে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাব থেকে তাঁকে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, শরীরে জ্বর জ্বর অনুভব করায় গত শনিবার ওসমানীর ল্যাবে শরীরের প্রয়োজনীয় নমুনা প্রদান করেন আওয়ামী লীগ নেতা আজাদুর রহমান আজাদ। রবিবার ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনাক্রান্ত বলে সনাক্ত হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ। তিনি তার সুস্থতার জন্য সবার দোয়া কামনা করেছেন। একইসাথে করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরেই অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সিসিকের টানা চারবারের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ। মহানগর আওয়ামী লীগের আগের কমিটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক তিনি। করোনাকালে ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতার মাধ্যমে সর্বমহলে প্রশংসিত হন আজাদ। তার স্ত্রী যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টহ্যাম্পস্টেড’র কেমডেন কাউন্সিলর নাজমা রহমান।
স্ত্রীকে সাথে নিয়ে করোনার শুরু থেকে মানুষের জন্য কাজ করছেন আজাদ। গভীর রাতে খাদ্যসহায়তা নিয়ে অসহায় মানুষের দরজায় ছুটে গেছেন তারা। তাদের মানবিত তৎপরতায় অসংখ্য খেটেখাওয়া মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।
সর্বশেষ শনিবারও নিজের এলাকায় গরু জবাই করে দুস্থ মানুষদের মধ্যে বিতরণ করেছেন কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ। করোনার শুরু থেকে মানুষের পাশে থাকার কোনো এক সময় কারও মাধ্যমে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।