• ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

গাজায় জরুরি যুদ্ধবিরতির আহ্বান যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর

bijoy71news
প্রকাশিত জুলাই ৯, ২০২৪
গাজায় জরুরি যুদ্ধবিরতির আহ্বান যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর

গাজায় জরুরি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার। ফোনালাপে তিনি ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি। 

ফোনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছেও যুদ্ধবিরতি, জিম্মি মুক্তি ও মানবিক সহায়তার পরিমাণ যে অনতিবিলম্বে বৃদ্ধি করা ‘জরুরি’, সে বিষয়টি তুলে ধরেন স্টারমার। 

আল-জাজিরার প্রতিবেদন বলেছে, বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে স্টারমার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাননি। যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মতো তিনিও এ নিয়ে চাপের মুখে ছিলেন। স্টারমার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিরোধিতাও করেছিলেন। জনসাধারণের তীব্র চাপের পর ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান আসে তার কাছ থেকে। 

স্টারমারের বিরুদ্ধে সাবেক পার্টি প্রধান জেরেমি করবিনসহ লেবার পার্টির কিছু ফিলিস্তিনপন্থি সদস্যকে মনোনয়ন না দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। যুক্তরাজ্যের এবারের নির্বাচনে করবিনসহ পাঁচ ফিলিস্তিনপন্থি প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। 

গত অক্টোবরে এলবিসি পডকাস্টে এক মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েন স্টারমার। তিনি বলেন, গাজায় পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ কমানোতে ইসরায়েলের অধিকার রয়েছে। তবে স্টারমার পাল্টা জানান, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারবিষয়ক এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ওই কথা বলেছিলেন তিনি।

লেবার সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনকে কার্যকরীভাবে পরিচালনা করার জন্য আর্থিক রাস্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের দীর্ঘমেয়াদি শর্তগুলো নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

তবে যুক্তরাজ্য সরকার যে ক্ষতিকর হুমকি প্রতিরোধে ইসরায়েলের পাশে থাকবে, তা নিশ্চিত করেছেন স্টারমার। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা চালিয়ে যেতে চায় বলে নেতানিয়াহুকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। তবে ফোনালাপের পর নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

স্টারমার একই বিষয় নিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও কথা বলেছেন। ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের জন্য আন্তর্জাতিক বৈধতা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শান্তি প্রক্রিয়ায় অবদান রাখার স্বীকৃতির বিষয়ে তার দীর্ঘদিনের নীতি পরিবর্তন হয়নি। আর এটি ফিলিস্তিনিদের অনস্বীকার্য অধিকার।’ 

বার্তা সংস্থার খবর বলছে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের সময় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে জোর দিয়েছেন মাহমুদ আব্বাস। এরই মধ্যে ১৪০টিরও বেশি রাষ্ট্রের থেকে সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃত পেয়েছে ফিলিস্তিন। সর্বশেষ মে মাসে ইউরোপের আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও নরওয়ে স্বীকৃতি দেয় ফিলিস্তিনকে। 

এদিকে নেতানিয়াহুর সঙ্গে ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে দেখা দেওয়া উত্তেজনা নিয়েও আলাপ করেন স্টারমার। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। সব পক্ষের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল সতর্কতার সঙ্গে কাজ করা।’ সূত্র: আল-জাজিরা