• ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জোবায়দা রহমানসহ মা-বোনের ব্যাংকে রাখা স্বর্ণ জিম্মায় দেয়ার নির্দেশ

bijoy71news
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪
জোবায়দা রহমানসহ মা-বোনের ব্যাংকে রাখা স্বর্ণ জিম্মায় দেয়ার নির্দেশ

২০০৭ সাল থেকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জিম্মায় থাকা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান, তার বোন শাহিনা খান ও মা ইকবাল মান্দ বানুর ১ কেজি ৬৭০ গ্রাম স্বর্ণালংকার (স্বর্ণের চেইন, হাতের বালা, আংটি) জিম্মা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন তাদের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। আদালত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের জিম্মায় বাতিল করে কাস্টমারদের অনুকূলে চালু (operate) করতে অনুমতি দিয়েছেন।

জোবায়দার বোন শাহিনা খানের আইনজীবী জাকির হোসেন ভুইয়া বলেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান, তার বোন শাহিনা খান ও মা ইকবাল মান্দ বানুর নামে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার দুটি লকার ছিল। সেখানে তাদের অলংকার রাখা ছিল।

২০০৭ সালে ধানমন্ডি থানার জিডিমূলে লকার দুটি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখার তৎকালীন সেলস টিম ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল জায়ীদের কাছে আদালত জিম্মায় প্রদান করে। আমরা লকারসমূহের হিসাবধারী তথা পরিচালনাকারী তথা কাস্টমারদের অনুকূলে চালু করতে আদালতে আবেদন করি। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেন।

আদালত আদেশে উল্লেখ করেন, ২০০৭ সালের ২৫ মার্চ রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় জিডিমূলে জোবায়দা রহমান, জোবায়দার বোন শাহিদা খান ও তাদের মা ইকবাল মান্দ বানুর নামে বরাদ্দকৃত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখায় থাকা ৩৬/২৩ এবং ৩৬/২৪ নং লকার থেকে ১ কেজি ৬৭০ গ্রাম অলংকারাদি জব্দ করা হয়।

পরে ওইদিনই জব্দকৃত অলংকার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখার তৎকালীন সেলস টিম ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল জায়ীদের কাছে আদালত জিম্মায় প্রদান করে।

পরবর্তীকালে দরখাস্তকারী শাহিনা খান, তার মাতা ইকবাল মান্দ বানু ও বোন জোবায়দার যৌথ নামে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখায় বরাদ্দপ্রাপ্ত লকার চালু করার আদেশদানের জন্য আদালতে আবেদন করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে তদন্তকারী কর্মকর্তা তথা ধানমন্ডি থানা একাধিকবার প্রতিবেদনও দাখিল করেন। ইতোপূর্বে ধানমন্ডি থানা কর্তৃক দাখিলী প্রতিবেদনসমূহ পর্যালোচনায় দেখা যায় জিডিমূলে জব্দকৃত আলামতের বিষয়ে আর কোনো মামলা নেই। ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনায় আরও দেখা যায় জব্দকৃত আলামত অলংকারাদি ওই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখার কাস্টডিতেই জমা আছে।

এ অবস্থায় সার্বিক পর্যালোচনায় যেহেতু জব্দকৃত আলামত বিষয়ে আর কোনো মামলা নেই। যেহেতু দরখাস্তকারী কথিত লকার পরিচালনাকারীদের অনুকূলে তা চালু করার আবেদন করেছেন এবং যেহেতু এতে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আপত্তি নাই সেহেতু স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার সেলস টিম ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল জায়ীদ বরাবর জব্দকৃত আলামতের জিম্মা বাতিল করা হলো।

অন্য কোনো আদালতের ফ্রিজাদেশ না থাকা সাপেক্ষে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখায় যৌথ লকার ৩৬/২৩ এবং ৩৬/২৪ ওই লকারসমূহের হিসাবধারী তথা পরিচালনাকারী তথা কাস্টমারদের অনুকূলে চালু করতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হলো।