সিলেট নগরী ও ১৩ টি উপজেলায় লাইসেন্সকৃত ৯১৪ টি অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে মাত্র ৪৩৪ টি। এরমধ্যে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক অস্ত্রও রয়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে যমুনা টিভির এক প্রতিবেদনে জেলা প্রশাসনের বরাত দিয়ে তা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তবর্তী সরকার ঘোষিত অস্ত্র জমা দানের সময়ের শেষদিন মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১২ টা পর্যন্ত এ অস্ত্র ও বরাদ্দকৃত গোলাবারুদ জমা হয়। বাকী ৪৮০ টি অস্ত্র এখনও জমা হয়নি। এসব অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করছে যৌথ বানিহী।
জানাছে, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সিলেট জেলায় ৯১৪ টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে মাত্র ৪৩৪টি অস্ত্র জমা দিয়েছেন লাইসেন্সধারীরা। লাইসেন্সকৃত এসব আগ্নেয়াস্ত্রের বেশির ভাগ মালিক আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের। ফলে অর্ধের চেয়ে বেশি অস্ত্র এখনও জমা না হওয়ায় যে কোনো ইস্যুতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।
আওয়ামীলীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মী রয়েছেন আত্মগোপনে। অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ফলে যৌথ বাহিনীর জোরালো অভিযান ছাড়া এসব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা হয়। এ সময় সিলেটের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া ও ব্যবহার দেখা গেছে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে গেলেও তাদের কাছে থাকা বৈধ ও অবৈধ অস্ত্র জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন পুলিশ স্টেশন থেকে লুট হওয়া অস্ত্র নিয়েও দেখা দেয় আতঙ্ক। এ অবস্থায় লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র স্বেচ্ছায় জমা দিতে সময় বেঁধে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।