সিলেটের গোলাপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ, বিজিবি ও আওয়ামী দলীয় ক্যাডারদের গুলিতে নিহত নাজমুল ইসলাম ও মিনহাজ আহমদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় আরো দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে একটি ও সোমবার (২৬ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়।
পৃথক দুটি মামলায় মোট আসামী ৪৩৪জন।
এ নিয়ে সর্বমোট মামলা হলো তিনটি। এর আগে শুক্রবার রাতে আরেকটি মামলা রেকর্ড হয় থানায়।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের নিশ্চিন্ত গ্রামের বাসিন্দা নিহত নাজমুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা মাহিনুর বাদী হয়ে ১৯জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০০/১১০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১০ তারিখ ২৫-০৮-২০২৪ইং। অপর মামলা দায়ের করেন ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের বাসিন্দা নিহত মিনহাজের ভাই ছাইদ আলম। মামলায় ৫৫জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১১ তারিখ ২৬-০৮-২০২৪ইং। এর আগে শুক্রবার পৌর এলাকার ঘোষগাও গ্রামের নিহত গৌছ উদ্দিনের ভাতিজা রেজাউল বাদী হয়ে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০০/৩০০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
মামলা নং ৮ তারিখ ২৩-০৮-২০২৪ইং। যদিও পরে বাদী গণমাধ্যমকে জানান তিনি মামলা দায়ের করেননি তার স্বাক্ষর জাল করে মামলা দেয়া হয়েছে। পৃথক মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু, উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম, পৌর কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খান, আওয়ামীলীগ নেতা আলী আকবর ফখর ,গোলাপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অভিজিৎ সিংহ সহ আরো অনেকের নাম রয়েছে।