জৈন্তাপুরে পিকআপ-লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহতের ঘটনায় তিনদফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্ধারা। অবরোধকারীদের তিনদফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সিলেট-তামাবিল আঞ্চলিক মহাসড়কে চোরাচালানের পণ্য পরিবহন বন্ধ, মহাসড়কে লাইসেন্সবিহীন কোনো চালককে যানবাহন চালাতে না দেওয়া ও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছয়জনের পরিবারকে পরিবহন শ্রমিকনেতাদের সমবেদনা জানানো।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টা থেকে জৈন্তাপুরের ঘাটেরচটি এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় ৪ ঘণ্টা পর দুপুর আড়াইটার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করেন বিক্ষুব্ধরা।
অবরোধকারীরা জানান, তামাবিল মহাসড়কের আরেক নাম মৃত্যুপুরী। আমরা আর অকালে সড়কে কাউকে মরতে দেবো না। এ পর্যন্ত যতগুলো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে জড়িত সব অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। এছাড়া অদক্ষ লাইসেন্স বিহীন চালকদের যানবাহন চালানো বন্ধ করতে হবে। চোরাইপণ্যবাহী নম্বরবিহীন পিকআপ গাড়ি অনির্দিষ্টকালের জন্য তামাবিল মহাসড়কে বন্ধ ঘোষণা করতে হবে।
অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম, সার্কেল এসপি শাহিদুর রহমান, জৈন্তাপুর থানার ওসি তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
জৈন্তাপুর থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় স্থানীয়রা অবরোধ করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ প্রত্যাহার করানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার জৈন্তাপুরের চিকনাগুল থেকে পাঁচটি লেগুনায় করে পারিবারিক অনুষ্ঠানে মোকামপুঞ্জির দিকে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। অন্যদিকে জৈন্তাপুরের দরবস্ত বাজার থেকে গরু কিনে হরিপুরের দিকে যাচ্ছিল একটি পিকআপ ভ্যান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দুটি গাড়ি দরবস্ত এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় লেগুনাটির একদিকের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে লেগুনায় থাকা ছয় যাত্রী নিহত ও পাঁচজন আহত হন।