• ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সংক্রমণ বাড়ছেই, আইসিইউ সংকট

bijoy71news
প্রকাশিত এপ্রিল ১০, ২০২১
সংক্রমণ বাড়ছেই, আইসিইউ সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ থাবায় সিলেটে দেখা দিয়েছে আইসিইউ সংকট। সংক্রমন বাড়ার সাথে সাথে বেড়ে গেছে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাও। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকেরা হিমশিম খাচ্ছেন। প্রতিদিন চারটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছেন শতাধিক। হাসপাতালগুলোতে সাধারণ শয্যা কিংবা আইসিইউ কোনোটিই খালি নেই। ১০০ শয্যার শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ঠাঁই মিলছে না রোগীদের। সিট খালি না থাকায় বাধ্য হয়ে হাসপাতালে আসা মুমূর্ষু রোগীদেরকেও ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
সিলেট বিভাগের চার জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউ বেড রয়েছে ২১টি। এর মধ্যে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ১৬টি ও মৌলভীবাজার হাসপাতালে ৫টি। বিভাগের সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ সরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ’র ব্যবস্থা নেই। চিকিৎসার মান ও সেবা ভাল হওয়ায় করোনা আক্রান্ত বা করোনার লক্ষণযুক্ত রোগীর অবস্থা খারাপ হলেই নিয়ে আসা হয় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে শয্যা সংকট থাকায় সকল রোগীকে ভর্তির সুযোগ দিতে পারছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সিট খালি থাকলে করোনা আক্রান্ত ‘সিরিয়াস’ রোগীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন হাসপাতালটিতে। আর নমুনা পরীক্ষা না করিয়ে করোনার লক্ষণযুক্ত কোনো রোগী আসলে তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র জানান, পজিটিভ রোগীদের ওয়ার্ডে কিছু সিট খালি আছে। তবে সন্ধিগ্ধ রোগীর ওয়ার্ডে জায়গা করা যাচ্ছে না। কোনো রোগী মোটামুটি সুস্থ হলেই তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর সেই সুযোগে যে সিট খালি হচ্ছে সেটাতে নতুন রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। আইসিইউতে সিট সংকট বেশি হওয়ায় করোনা প্রমাণিত রোগী ছাড়া ‘সাসপেক্টেড’ রোগী ভর্তি করা যাচ্ছে না। আইসিইউতে ১৬টি সিট রয়েছে। ১৪টি পরিপূর্ণ। আরো দুটি ডাইলাসিস রোগীর জন্য রিজার্ভ রাখা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে আইসিইউ বেড ১৬টি এবং ওয়ার্ড ও কেবিন মিলে সিট আছে ৮৪টি। শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্যন্ত হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে ১৬ বেডের বিপরীতে ভর্তি ছিলেন ১৪ জন রোগী। আর ওয়ার্ড ও কেবিন মিলিয়ে রোগী ভর্তি ছিলেন আরও ৬৫ জন।