• ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সিটি ও পৌর কাউন্সিলর না থাকায় স্থবির কার্যক্রম, ভোগান্তিতে নাগরিক

bijoy71news
প্রকাশিত নভেম্বর ২৭, ২০২৪
সিটি ও পৌর কাউন্সিলর না থাকায় স্থবির কার্যক্রম, ভোগান্তিতে নাগরিক

দেশের প্রতিটি সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় কাউন্সিলর না থাকায় স্থবির হয়ে আছে কার্যক্রম। জন্মনিবন্ধন সনদসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবা না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নাগরিকদের। প্রতিদিনই কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের।

এদিকে, সারা দেশে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পৌর কাউন্সিলর পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেছেন।

ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি ও পৌরসভায় মেয়রদের পাশাপাশি অপসারণ করা হয় কাউন্সিলরদেরও। এরপর থেকে ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা। জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, মৃত্যু সনদ পেতে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।

এক ভুক্তভোগী বলেন, পৌরসভায় কাউন্সিলর নাই, লোকজন নাই। এ জন্য আমরা প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারছি না।’

আরেকজন বলেন, ‘কেউ মারা গেলে তার তাৎক্ষণিক মৃত্যু সনদ, কিংবা ব্যাবসায়িক লাইসেন্স প্রাপ্তিতে যে দীর্ঘ সূত্রিতা সেটি আরও দীর্ঘ হচ্ছে।’

কাউন্সিলররা স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচিত হলেও, ইউনিয়ন পরিষদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা এখনও স্বপদেই বহাল আছেন। পদ ফিরে পেতে তাই হাইকোর্টে রিট করেছেন পৌর কাউন্সিলরা।

সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর জহির উদ্দিন বলেন, নির্দলীয় এবং নিরপেক্ষভাবে আমরা নির্বাচন করেছি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। ধানের শিষ বলেন, নৌকা বলেন, দাঁড়িপাল্লা কিংবা মশাল বলেন আমাদের কোনো প্রতীক ছিল না।’

সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা জনগণের সেবা দিতে চাই। এই সরকার যেহেতু জনগণের সরকার, জনগণের কল্যাণ চায় সেহেতু জনগণ এই কাউন্সিলরদের পুনর্বহাল করতে চায়।

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেওয়া প্রয়োজন। না হলে ভেঙে পড়বে নাগরিক সেবার ব্যবস্থা, বলছেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য।

নির্বাচন সংস্কার কমিশন সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘স্থানীয় সরকার আইনটা করে যদি নির্বাচনে যান তাহলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনটা করা সম্ভব। অথবা বর্তমান সময়ে যা আছে তা রেখে যদি নির্বাচনে যেতে চান তাহলে পাঁচটা শিডিউল দিয়ে পাঁচটা নির্বাচন করতে হবে। এই পাঁচটি নির্বাচন করে জাতীয় নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।’

সারা দেশে কাউন্সিলর সংখ্যা ৪ হাজার। ২৬ সেপ্টেম্বর একযোগে সব সিটি ও ৩২৩টি পৌরসভার কাউন্সিলরকে বরখাস্ত করা হয়।