ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে যাওয়ার সময় অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া সবকিছুই সরকারি বাসভবন গণভবনে রেখে যেতে হয়েছে তাকে। আর এ সুযোগেই ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর পরই বিক্ষুব্ধ জনতা গণভবনে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর গণভবনে জনসাধারণের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তবে গণভবনের প্রতিটি কোণায় রয়েছে হামলা-ভাঙচুরের চিহ্ন। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের ব্যবহৃত আসবাব ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানডে টাইমসের প্রতিবেদক অন্তর্বর্তী সরকারের অনুমতি নিয়ে গণভবনে ঘুরে দেখার সুযোগ পান ।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট গণভবনে ব্যাপক লুটপাট হয়। নগদ অর্থ, আসবাব, ফ্রিজ থেকে শুরু করে শাড়ি, গয়না, দামি খাবার—সবকিছু লুটপাট করা হয়। যদিও পরবর্তীতে অনেকেই লুট করা এসব জিনিস ফেরত দিয়ে গেছেন। তবে এখনো অনেক কিছু ধ্বংসস্তূপ আর ধুলার মধ্যে পড়ে রয়েছে।
সানডে টাইমস জানায়, সেখানে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের প্রচারপত্র, লেবার পার্টির পোস্টার, নামী ব্র্যান্ডের শপিং ব্যাগ, দামি কলমের মোড়ক, বিদেশি বিশিষ্টজনদের উপহার দেওয়া পোশাক-গয়না, তৈজসপত্রসহ আরও নানা জিনিস পড়ে রয়েছে এখানে-সেখানে।
এছাড়াও দেখা গেছে সোনার প্রলেপ দেওয়া দেড় হাজার ডলারের মন্টব্ল্যাঁ কলম, হীরার মান যাচাইয়ের সনদ, শেখ মুজিব হত্যায় সম্পৃক্ত একাধিক কূটনৈতিক তারবার্তার কপি, শেখ হাসিনার শয়নকক্ষে মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার ব্র্যান্ডের দামি মোজার প্যাকেট, বিদেশি বিশিষ্টজনদের দেওয়া উপহারের তালিকা।