বি৭১নি ডেস্ক :দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-৩ সংসদীয় আসন। গেল দশ বছর ধরে এই আসনের সাংসদ এম আবদুল মান্নান। তিনি সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মান্নান।
এবার নির্বাচনে অংশ নিতে এম এ মান্নান যে হলফনামা দাখিল করেছেন, তাতে দেখা গেছে, গেল দশ বছরে তাঁর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে এক কোটি ২০ লাখ টাকা।
২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুসারে, তখন মান্নানের অস্থাবর সম্পদ ছিল ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকার। এরপর ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মান্নান তাঁর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখান এক কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৬ টাকার। এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনি অস্থাবর সম্পদ এক কোটি ৮৪ লাখ ৭২ হাজার ১৪৮ টাকা দেখিয়েছেন।
এ হিসেবে গেল দশ বছরের ব্যবধানে তাঁর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে এক কোটি ২০ লাখ ৫২ হাজার ১৪৮ টাকা। আর পাঁচ বছরের ব্যবধানে এই সম্পদ বেড়েছে ৪৫ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭২ টাকা।
এবারের হলফনামা অনুসারে, এম এ মান্নানের কাছে নগদ তিন লাখ ৬১ হাজার ৮৬৪ টাকা আছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৫৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০২ টাকা। বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে তাঁর বিনিয়োগ ৬৯ লাখ টাকা। মান্নানের জিপগাড়ির মূল্য ৫৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮২ টাকা।
এম এ মান্নানের স্থাবর সম্পদ এবার দেখানো হয়েছে ৩৯ লাখ ২ হাজার টাকার। এর মধ্যে কৃষি ও অকৃষি জমির মূল্য ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ১৮ লাখ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, আধা পাকা তিনটি টিনশেড ঘরের মূল্য ৫০ হাজার টাকা এবং ১৩ শতকের একটি পুকুরের মূল্য ২ হাজার টাকা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী এ এ মান্নানের বার্ষিক আয়ও বেড়েছে। গেলবার তাঁর বার্ষিক আয় ৮ লাখ ৪৮ হাজার ১৭৯ টাকা দেখানো হয়েছিল। এবার ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ২৩১ টাকা বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে। মান্নান বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান প্রভৃতির ভাড়া বাবদ ৩ লাখ ৯৬ হাজার ২৮০ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬২২ টাকা, পেশা থেকে ১১ লাখ ৪ হাজার টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩২৯ টাকা আয় করেন।