সিলেটের ৬ টি আসনে মনোনয়ত্র জমা দিয়েছিলেন ৬৬ প্রার্থী। এরমধ্যে ২২ জনই বিভিন্ন মামলার আসামী। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা রয়েছেন। সিলেটে মনোনয়ন দাখিল করা ৪৪ জনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সাথে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১০ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ১টি করে মামলা ছিলো। সেসব মামলা থেকে কেউ কেউ খালাস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আবার কারো মামলা এখনো আদালতে বিচারাধীন। দু’টি করে মামলা রয়েছে ৫ জনের, ৩টি করে দুই জনের, ৪টি একজন, ৬টি ও ৮টি মামলায় অভিযুক্ত একজন করে, ১৮টি ও ২২ টি মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন দুই জন করে প্রার্থী।
সিলেট-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী দলটির কেন্দ্রীয় সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সামসুজ্জামান জামানের হয়েছে ২২টি মামলা। এসব মামলার ১১টিতে খালাস, ১০টি বিচারাধীন ও একটি স্থগিত করেছে উচ্চ আদালত।
সিলেট-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ইসলামী ঐক্যজোট নেতা মোহাম্মদ আব্দুর রকিবের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের নির্দেশ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি।
সিলেট-৩ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মাহমুদউস সামাদ চৌধুরী কয়েস। এবারও এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে চারটি মানহানীর মামলাসহ ৮টি মামলা থাকলেও ৫টি আদালত খারিজ করে দিয়েছে। বাকীগুলোর মধ্যে একটিতে অব্যাহতি ও দুটি বিচারাধীন রয়েছে হলফনামায় উল্লেখ করেন কয়েস।
সিলেট-১ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ১১ প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদিরের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে। এগুলো তদন্তাধীন বলে উল্লেখ করেছেন হলফনামায়। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়জুল হকের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে, যা এখনো তদন্তাধীন।
সিলেট-২ আসনে ১২ প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন মামলায় অভিযুক্ত হন। এরমধ্যে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম. ইলিয়াস পত্মী তাহসীনা রুশদীর লুনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা থাকলেও তিনি খালাস পান। ১টি করে মামলা রয়েছে খেলাফত মজলিসের মুনতাছির আলী, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো. মোশাহিদ খান, গণফোরামের মোকাব্বির খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান এবং মোহাম্মদ আব্দুর রব’র বিরুদ্ধে ২টি মামলা থাকলেও নিস্পত্তি হয়। রোববার বাছাইয়ে মুহিবুর রহমান ও আব্দুর রবের মনোনয়ন বাতিল হয়। যদিও তারা আপীল করবেন বলে জানিয়েছেন।
সিলেট-৩ আসনে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে মাহমুদু-উস সামাদ ছাড়াও একটি করে মামলা রয়েছে বিএনপির দুই প্রার্থী এমএ হক ও সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী এবং ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল মতিন বাদশা, জাপার উছমান আলী ও খেলাফত মজলিসের দিলওয়ার হোসাইনের বিরুদ্ধে।
সিলেট-৪ আসনে ৮ প্রার্থীর চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এরমধ্যে সামসুজ্জামান জামান ছাড়াও জাতীয় পার্টির এটিইউ তাজের বিরুদ্ধে দুটি, বিএনপির কেস্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। জাতীয় পার্টির আরেক প্রার্থী এম ইসমাইল আলী আশিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা হলেও চার্জশীট থেকে তাঁর নাম বাদ পড়ে। অবশ্য রোববার বাছাইকালে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নি কর্মকর্তা।
সিলেট-৫ আসনে ১২ প্রার্থীর মধ্যে কারো বিরুদ্ধেই মামলা নেই।
সিলেট-৬ আসনে মাওলানা আব্দুর রকিবছাড়াও বিকল্প ধারার প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৩ ও বিএনপির হেলাল খান হোসেন খান হেলালের বিরুদ্ধে ৩টি জামায়াত নেতা মাওলানা হাবীবুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।