বিজয় ৭১ ডেস্ক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমদ চৌধুরী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁর মনোনয়নপত্রও বৈধ বলে গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইনাম আহমদ চৌধুরী ইসিতে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, তাতে দেখা গেছে, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এলএলবি। ইনাম চৌধুরী তাঁর আয়ের উৎস হিসেবে ‘বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বা দোকান থেকে প্রাপ্ত ভাড়া’র কথা উল্লেখ করেছেন।
হলফনামা অনুসারে, ইনাম আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই, আগেও ছিল না। তিনি সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করে বর্তমানে সমাজকল্যাণমূলক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বা দোকান থেকে ভাড়া তিনি বছরে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৫৬০ টাকা আয় করেন। তাঁর নামে শেয়ার, সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক আমানত আছে ২৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯২০ টাকার।
ইনাম চৌধুরীর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে নগদ ১১ লাখ টাকা এবং ১৪ হাজার ৯২০ ইউএস ডলার রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৬৭ লাখ ৫৯ হাজার ১৯৭ টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে নগদ ১৫ লাখ টাকা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানীর ২৫ হাজার শেয়ার আছে ইনাম চৌধুরীর। তাঁর স্ত্রীর নামে শেয়ার আছে ৩১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৯ টাকার। পোস্টাল, সেভিংস, সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে ইনামের বিনিয়োগ এক কোটি ৮৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭২ (অয়েজ আর্নার বন্ড) ও দুই কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ (এফডিআর)। এক্ষেত্রে স্ত্রীর নামে আছে এক কোটি ৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকার বিনিয়োগ। তাঁর নিজ নামে ৩১ লাখ টাকা যানবাহন, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার, আসবাবপত্র এক লাখ টাকার এবং স্ত্রীর নামে ২৫ ভরি স্বর্ণ (অর্জনকালীন সময়ের মূল্য এক লাখ ২৫ হাজার টাকা) রয়েছে।
ইনাম চৌধুরী স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট আছে ৩৯ লাখ ৮১ হাজার টাকার (অর্জনকালীন সময়ের মূল্য)।