বিজয় ৭১ ডেস্ক
সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১৩ নারী নেত্রী। তবে মাত্র দুইজনের ভাগ্যে জুটেছে দলীয় মনোনয়ন। এই দুই নেত্রী হলেন সিলেট-২ আসনে বিএনপির তাহসিনা রুশদীর লুনা এবং সুনামগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের জয়া সেনগুপ্ত।
বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম. ইলিয়াস আলী ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ‘নিখোঁজ’ হওয়ার পর থেকে রাজনীতির মাঠে নামেন তার স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। সিলেট-২ আসনের অন্তর্ভূক্ত বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপিকে সংগঠিত করতে কাজ করেন তিনি। আগামী নির্বাচনে লুনার ওপরই আস্থা রেখেছে বিএনপি। বিএনপি মনে করছে, ইলিয়াস ‘নিখোঁজের’ বিষয়টি কাজে লাগিয়ে ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারবেন লুনা।
সুনামগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ছিলেন বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। তিনি প্রয়াত হওয়ার পর উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন তার স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের কাছে মনোনয়ন চান। আওয়ামী লীগও তার ওপর আস্থা রেখে মনোনয়ন দিয়েছে। যদিও তাকে বাদ দিয়ে অন্য যে কোন নেতাকে প্রার্থী করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন ওই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বাকি নেতারা।
এ দুই নেত্রী ছাড়া বাকি ১১ মনোনয়নপ্রত্যাশী নেত্রীই মনোনয়ন পাচ্ছেন না। সিলেট-১ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন মহিলাদল নেত্রী ডা. নুরুন্নাহার বেগম, সিলেট-২ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চান দলটির অঙ্গসংগঠন জাতীয় মহিলা পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক শিউলী আক্তার, সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি এবং বিএনপি থেকে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এদের কেউই পাননি দলের টিকেট।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামীমা শাহরিয়ার, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জেলা মহিলা লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট শামসুন্নাহার বেগম (শাহানা রব্বানী) আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান। তবে তাদের ভাগ্যেও জুটেনি দলীয় মনোনয়ন। মৌলভীবাজার-২ আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন নেহার বেগম। তিনি কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মৌলভীবাজার জেলা জাসদের সদস্য। তিনি পাননি মনোনয়ন।
মৌলভীবাজার-৩ আসনের বর্তমান সাংসদ সৈয়দা সায়রা মহসিন এবারও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে তাকে মনোনয়ন দেয়নি দলটি। একই আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেদা রব্বানী, পাননি তিনিও। হবিগঞ্জ-১ আসনে এবার সরাসরি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে লড়তে চেয়েছিলেন আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। তিনি সিলেট-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের বর্তমান সাংসদ। আর হবিগঞ্জ-৪ আসনে (চুনারুঘাট-মাধবপুর উপজেলা) বিএনপি থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন শাম্মী আক্তার। তিনি সংরক্ষিত আসনের সাবেক সাংসদ, বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-স্থানীয় বিষয়ক সম্পাদক। এই দুজনও দলীয় মনোনয়ন পাননি।