সাফ ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনালে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। ক্রিকেট কিংবা হকির মতো ফুটবলে সেই উত্তাপটা তেমন নেই বললেই চলে। ফুটবলে সাফল্য বিচারে পাকিস্তানের চেয়ে ভারত যোজন যোজন এগিয়ে। তারপরও সব কথার শেষে ম্যাচটা, ভারত-পাকিস্তানের। প্রতিবেশি দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতা থেকে শুরু করে খেলার বাইরের অনেক কিছুই ঢুকে যায় সেখানে। আর একারণেই সাফে দুই দলের লড়াইটিও আকর্ষণ ছড়াচ্ছে। এদিকে বিকেলে ৪টায় একই ভেন্যুতে প্রথম সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হবে নেপাল ও মালদ্বীপ।
সাফ ফুটবলে রেকর্ড সাত বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তান রার্সান আপও হতে পারেনি কখনও। তাদের সেরা সাফল্য ১৯৯৭ আসলে তৃতীয় স্থান অর্জন। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইও পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিচ্ছে। সবমিলে দুই দলের ২৩ বারের দেখায় ১৪টিতেই জিতেছে ভারত। ড্র ৬টিতে। পাকিস্তান জিতেছে মাত্র ৩টি ম্যাচ।
সাফের সেমি ফাইনালে জায়গা করে নিতে পাকিস্তানকে তাই দুর্দান্ত কিছু করা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু সেটা কতটা সম্ভব তাদের পক্ষে? তিন বছর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ছিল না পাকিস্তান জাতীয় দল। সেই নিষেধাজ্ঞা শেষে দেশটি প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে এই সাফেই। নিজেদের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে নেপালকে তারা ২-১ গোলে হারিয়ে শুরু করে টুর্নামেন্ট। তবে বাংলাদেশের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় দ্বিতীয় ম্যাচে। এরপর ভুটানকে হারিয়ে দলটি জায়গা করে নেয় সেমি ফাইনালে। তিন বছর জাতীয় দলের কোনো খেলা না থাকায় র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থান ২০১।
ভারত দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডিতে পড়ে থাকার চিন্তা অনেক আগেই ছুঁড়ে ফেলেছে। র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান একশ’র (বর্তমান অবস্থান ৯৬) মধ্যে নিয়ে গেছে দলটি। সাফের আসরে তাই তারা পাঠিয়েছে বয়স ভিত্তিক দলকে। ভারতের অনূর্ধ্ব-২৩ দলটিকে যে হেলাফেলার উপায় নেই তা তারা বুঝিয়ে দিয়েছে ইতিমধ্যে। ‘বি’ গ্রুপে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ যেমন কোনো পরীক্ষাই নিতে পারেনি ইংলিশ কোচ কনস্ট্যানটাইনের দলের। দুটি দলই হেরেছে ২-০ গোলে। ভারতের তারুণ্যের শক্তি বোঝাতে আরেকটা উদাহরণ টানা যেতেই পারে। দেশটির অনূর্ধ্ব-২০ দল ক’দিন আগে হারিয়েছে আজেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২০ দলকে।
তবে ঢাকার মাঠেই ২০০৩ সালে ভারতকে হারিয়েছিল পাকিস্তান। নিজেদের ইতিহাসে ভারতের বিপক্ষে যা তাদের দ্বিতীয় জয়। তৃতীয় জয়টি পায় তারা ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে। প্রথম জয়টি ছিল ১৯৫৯ সালে এএফসি এশিয়ান কাপে।