• ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সাফ ফুটবল : ভারত-পাকিস্তান মহারণ

bijoy71news
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮

সাফ ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনালে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। ক্রিকেট কিংবা হকির মতো ফুটবলে সেই উত্তাপটা তেমন নেই বললেই চলে। ফুটবলে সাফল্য বিচারে পাকিস্তানের চেয়ে ভারত যোজন যোজন এগিয়ে। তারপরও সব কথার শেষে ম্যাচটা, ভারত-পাকিস্তানের। প্রতিবেশি দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতা থেকে শুরু করে খেলার বাইরের অনেক কিছুই ঢুকে যায় সেখানে। আর একারণেই সাফে দুই দলের লড়াইটিও আকর্ষণ ছড়াচ্ছে। এদিকে বিকেলে ৪টায় একই ভেন্যুতে প্রথম সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হবে নেপাল ও মালদ্বীপ।

সাফ ফুটবলে রেকর্ড সাত বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তান রার্সান আপও হতে পারেনি কখনও। তাদের সেরা সাফল্য ১৯৯৭ আসলে তৃতীয় স্থান অর্জন। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইও পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিচ্ছে। সবমিলে দুই দলের ২৩ বারের দেখায় ১৪টিতেই জিতেছে ভারত। ড্র ৬টিতে। পাকিস্তান জিতেছে মাত্র ৩টি ম্যাচ।

সাফের সেমি ফাইনালে জায়গা করে নিতে পাকিস্তানকে তাই দুর্দান্ত কিছু করা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু সেটা কতটা সম্ভব তাদের পক্ষে? তিন বছর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ছিল না পাকিস্তান জাতীয় দল। সেই নিষেধাজ্ঞা শেষে দেশটি প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে এই সাফেই। নিজেদের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে নেপালকে তারা ২-১ গোলে হারিয়ে শুরু করে টুর্নামেন্ট। তবে বাংলাদেশের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় দ্বিতীয় ম্যাচে। এরপর ভুটানকে হারিয়ে দলটি জায়গা করে নেয় সেমি ফাইনালে। তিন বছর জাতীয় দলের কোনো খেলা না থাকায় র‌্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থান ২০১।

ভারত দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডিতে পড়ে থাকার চিন্তা অনেক আগেই ছুঁড়ে ফেলেছে। র‌্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান একশ’র (বর্তমান অবস্থান ৯৬) মধ্যে নিয়ে গেছে দলটি। সাফের আসরে তাই তারা পাঠিয়েছে বয়স ভিত্তিক দলকে। ভারতের অনূর্ধ্ব-২৩ দলটিকে যে হেলাফেলার উপায় নেই তা তারা বুঝিয়ে দিয়েছে ইতিমধ্যে। ‘বি’ গ্রুপে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ যেমন কোনো পরীক্ষাই নিতে পারেনি ইংলিশ কোচ কনস্ট্যানটাইনের দলের। দুটি দলই হেরেছে ২-০ গোলে। ভারতের তারুণ্যের শক্তি বোঝাতে আরেকটা উদাহরণ টানা যেতেই পারে। দেশটির অনূর্ধ্ব-২০ দল ক’দিন আগে হারিয়েছে আজেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২০ দলকে।

তবে ঢাকার মাঠেই ২০০৩ সালে ভারতকে হারিয়েছিল পাকিস্তান। নিজেদের ইতিহাসে ভারতের বিপক্ষে যা তাদের দ্বিতীয় জয়। তৃতীয় জয়টি পায় তারা ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে। প্রথম জয়টি ছিল ১৯৫৯ সালে এএফসি এশিয়ান কাপে।

অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই শান্তর সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের লিড ২০৫ সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। তার সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের লিড ২০৫ রানের। সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনটি পুরোটাই নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরুতে দ্রুত কিউইদের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানে ২ উইকেট হারালেও শান্ত ও মুমিনুলের ৯০ রানে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মুমিনুল ৪০ রানে ফিরে গেলেও শান্ত তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। ৬৮ ওভারে ২১২ রান তোলার পর আলো স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২০৫ রান। সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে কিউইদের শেষ দুই উইকেট তু্লে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। ১০ ওভারে রান করেন ১৯। যার মধ্যে টাইগারদের লিড দাঁড়ায় ১২। ১২ রান লিড নিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু লাঞ্চ থেকে ফিরেই ঘটে ছন্দপতন।দলীয় ২৩ রানে এজাজ পাটেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান জাকির হাসান। আউট হওয়ার আগে করেন ৩০ বলে ১৭ রান। জাকির হাসানের পথ ধরে ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়। আগের ম্যাচে ১৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা জয় আজ দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার। সাউদির বলে ড্রাইভ খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, বল বোলারের হাত স্পর্শ করে ভেঙে যায় ননস্ট্রাইকের স্টাম্প। ফলে ৪৬ বলে ৮ রান করে রান আউট কাটা পড়েছেন জয়।তার বিদায়ে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মুমিনুল ও শান্ত। আগের ম্যাচে তাড়াহুড়ো করে খেলতে থাকা শান্ত আজ শুরু থেকেই খেলতে থাকেন দেখেশুনে। এই জুটিতে ভর করে ৩১ ওভারে দলীয় শতক পূর্ণ করে টাইগাররা। তার লিড ১০০ ছাড়ায় ৩৫ ওভারে।৩৮ ওভারে ১১১ রান করে ১০৪ রানের লিড নিয়ে চা পানের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে কিউইদের বিপক্ষে অর্ধশতক তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর আজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ বলে তুলে নেন ৫০ রান। শান্তর পথ ধরে মুমিনুল হকও এগিয়ে যাচ্ছিলেন অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু রান আউটের শিকার হয়ে ৬৮ বলে ৪০ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ১১৬ রানে ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা। মুমিনুলের বিদায়ের পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়েন শান্ত। প্রথম ইনিংসে ১২ রানে সাজঘরে ফিরে যাওয়া মুশি আজ শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন। এই জুটিতে ভর করে ৫৬ ওভারে লিড ১৫০ পূর্ণ করে বাংলাদেশ। কিউইদের বিপক্ষে ৯৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেওযার পর ১৯২ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি।যার মধ্যে রয়েছে ৯ টি চারের মার। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করলেন শান্ত। যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। ৬৮ ওভারে তিনি উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করার পর আলো স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২০৫ রান।