• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়

bijoy71news
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়

একদিনের ক্রিকেটে নিজেদের ইতিহাসে নিউজিল্যান্ডকে কখনোই তাদের মাটিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশেষে সেই আক্ষেপ মোচন হয়েছে আজ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুইটিতে হেরে সিরিজ খুইয়ে আজ কিউইদের বিপক্ষে লাল-সবুজের দল মাঠে নামে ধবলধোলাই এড়ানোর লক্ষ্যে। সে লক্ষ্যে টসে জিতে স্বাগতিকদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। এরপর বল হাতে তোপ দাগেন শরিফুল-সাকিব-সৌম্যরা। ফলে টাইগার পেসারদের বোলিং তোপে মাত্র ৯৮ রানেই অল আউট হয় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। এরপর ৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট আর ২০৯ বল হাতে রেখেই দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের বিপক্ষে নিজেদের উনিশতম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ।

কিউইদের দেয়া ৯৯ রানের লক্ষ্যে আজ টাইগারদের হয়ে ব্যাটিং ইনিংসের সূচনা করেন সৌম্য এবং এনামুল হক বিজয়। তবে বল হাতে তিন উইকেট তুলে নেয়ার পর আজ ব্যাট হাতে নিজের পারফর্ম্যান্স দেখানোর সুযোগ পাননি আগের ম্যাচে ১৬৯ রান করা সৌম্য। ১৬ বল খেলে ৪ রান করার পর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

এরপর ক্রিজে বিজয়ের সঙ্গী হন অধিনায়ক শান্ত। আর এ দুইজনের ব্যাটেই আজ ইতিহাস গড়া এক বিজয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। এই দুই টাইগার ব্যাটার মিলে পরে গড়েছেন ৬৯ রানের এক জুটি। তবে দলীয় ৮৪ রানে উইলিয়াম ওরুর্কির শিকার হয়ে ৩৩ বলে ৭ চারে ৩৭ রান করে সাজঘরে ফিরেন বিজয়।

তবে বিজয় ফিরলেও এদিন সহজেই ঐতিহাসিক এক জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। বিজয় সাজঘরে ফেরার পর ক্রিজে অধিনায়ক শান্তর সঙ্গী হন লিটন দাস। এ দুজন মিলেই পরে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েছেন বাংলাদেশকে। আর জয়ের পথে দুর্দান্ত এক শতক তুলে নিয়েছেন শান্ত, করেছেন ৪২ বলে ৮ চারে ৫১ রান।

এর আগে নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে ধবলধোলাই এড়ানোর লক্ষ্যে মাঠে নেমে টসে জিতে কিউইদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। আর বল হাতে শুরু থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করেন বোলাররা। আর কিউইদের ডেরায় আজ প্রথম আঘাত হানেন তানজিম সাকিব। চতুর্হ ওভারের শেষ বলেই তরুণ এই পেসারের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে মুশফিকের রহিমের গ্লাভসবন্দী হয়ে সাজঘরে ফিরেন রাচীন রবীন্দ্র।

কিউইদের দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেট তুলে নেয়ার পর দ্রুতই আরও এক উইকেট তুলে নেন সাকিব। অষ্টম ওভারে তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে শান্তর হাতে ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘর ফিরেন হেনরি নিকোলস। ফলে দলীয় ২২ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে কিউইরা। সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দেন শরিফুল ইসলাম।

১৬.৩ ওভারের সময় কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথামকে বোল্ড করেন টাইগার পেসার। এরপর কিউইদের স্কোরবোর্ডে আরও ৩ রান যোগ হতেই ফের আঘাত হানেন শরিফুল। এবার তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন আরেক ওপেনার উইল ইয়াং। ফলে ৬১ রানেই চার টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা।

দুই টাইগার পেসারের সঙ্গে এরপর উইকেট তুলে নেয়ার উৎসবে যোগ দেন সৌম্য সরকার। শরিফুল এবং সাকিব আরও দুই উইকেট তুলে নেয়ার পর কিউইদের শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন সৌম্য। সাজঘরে পাঠান জশ ক্লার্কসন এবং অ্যাডাম মিলনেকে।

এরপর আর কিউইদের হাল ধরতে পারেনি কেউ। ফলে ৩১.৪ ওভারেই নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবথেকে কম রান করার রেকর্ড গড়ে ৯৮ রানেই অলয়াউট হয় নিউজিল্যান্ড। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল, সৌম্য এবং সাকিব।

অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই শান্তর সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের লিড ২০৫ সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। তার সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের লিড ২০৫ রানের। সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনটি পুরোটাই নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরুতে দ্রুত কিউইদের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানে ২ উইকেট হারালেও শান্ত ও মুমিনুলের ৯০ রানে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মুমিনুল ৪০ রানে ফিরে গেলেও শান্ত তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। ৬৮ ওভারে ২১২ রান তোলার পর আলো স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২০৫ রান। সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে কিউইদের শেষ দুই উইকেট তু্লে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। ১০ ওভারে রান করেন ১৯। যার মধ্যে টাইগারদের লিড দাঁড়ায় ১২। ১২ রান লিড নিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু লাঞ্চ থেকে ফিরেই ঘটে ছন্দপতন।দলীয় ২৩ রানে এজাজ পাটেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান জাকির হাসান। আউট হওয়ার আগে করেন ৩০ বলে ১৭ রান। জাকির হাসানের পথ ধরে ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়। আগের ম্যাচে ১৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা জয় আজ দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার। সাউদির বলে ড্রাইভ খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, বল বোলারের হাত স্পর্শ করে ভেঙে যায় ননস্ট্রাইকের স্টাম্প। ফলে ৪৬ বলে ৮ রান করে রান আউট কাটা পড়েছেন জয়।তার বিদায়ে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মুমিনুল ও শান্ত। আগের ম্যাচে তাড়াহুড়ো করে খেলতে থাকা শান্ত আজ শুরু থেকেই খেলতে থাকেন দেখেশুনে। এই জুটিতে ভর করে ৩১ ওভারে দলীয় শতক পূর্ণ করে টাইগাররা। তার লিড ১০০ ছাড়ায় ৩৫ ওভারে।৩৮ ওভারে ১১১ রান করে ১০৪ রানের লিড নিয়ে চা পানের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে কিউইদের বিপক্ষে অর্ধশতক তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর আজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ বলে তুলে নেন ৫০ রান। শান্তর পথ ধরে মুমিনুল হকও এগিয়ে যাচ্ছিলেন অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু রান আউটের শিকার হয়ে ৬৮ বলে ৪০ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ১১৬ রানে ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা। মুমিনুলের বিদায়ের পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়েন শান্ত। প্রথম ইনিংসে ১২ রানে সাজঘরে ফিরে যাওয়া মুশি আজ শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন। এই জুটিতে ভর করে ৫৬ ওভারে লিড ১৫০ পূর্ণ করে বাংলাদেশ। কিউইদের বিপক্ষে ৯৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেওযার পর ১৯২ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি।যার মধ্যে রয়েছে ৯ টি চারের মার। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করলেন শান্ত। যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। ৬৮ ওভারে তিনি উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করার পর আলো স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২০৫ রান।