দুদিন বিরতির পর বুধবার (১৫ নভেম্বর) থেকে ফের শুরু হচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ধুন্ধুমার লড়াই। এদিন দুপুর আড়াইটায় মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে গত আসরের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড।
এর পরদিন দুপুর আড়াইটায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলকাতার ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন মাঠে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামবে ‘চোকার’ খ্যাত সাউথ আফ্রিকা। এরপর বিজয়ী দুই দলকে নিয়ে ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ।
কে জিতবে, কে হারবে- এই ফায়সালা তো মাঠেই হবে। তবে অন্য যেকোনো খেলার চেয়ে ক্রিকেটের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে দুশ্চিন্তাটা ভোগায় সবাইকে, তা হলো বৃষ্টি। কী হবে, যদি সেমিফাইনালের দুই ম্যাচে এবং ফাইনালের দিনে বাগড়া দেয় বৃষ্টি? জানতে আগ্রহী গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।
এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আসিসি ক্রিকেট বিশ্বকে নিশ্চিত করেছে যে, সেমিফাইনালের দুই ম্যাচ এবং ফাইনাল— তিন ম্যাচের জন্যই রিজার্ভ ডে থাকবে। যদি আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত দিনে খেলা শেষ করা না যায়, তবে রিজার্ভ ডে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কখন রিজার্ভ ডে’র নিয়ম ব্যবহার করা হয়?
রিজার্ভ ডে সক্রিয় করার আগে আম্পায়াররা চেষ্টা করবেন, দুই পক্ষকে ন্যূনতম ২০ ওভার করে ম্যাচ খেলিয়ে সেটা একদিনে শেষ করতে। নির্ধারিত দিনে ম্যাচটি সম্পূর্ণ করারই চেষ্টা করেন আম্পায়াররা। তবে যদি তা সম্ভব না হয়, তবে একটি রিজার্ভ ডে’তে গড়ায় খেলা।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচে রিজার্ভ ডে’র প্রয়োজন পড়েছিল। সেই ম্যাচটিতে ভারত হেরেছিল।
কীভাবে রিজার্ভ ডে ব্যবহার করা হয়?
বৃষ্টিতে কখন খেলা বন্ধ হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে দুটি পরিস্থিতি তৈরি হয়। উদাহরণ ১- ৫০ ওভারের ম্যাচে যদি ১৯তম ওভারের আগে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়, তবে সেটি রিজার্ভ ডে’তে ম্যাচ গড়ায়। আবার বৃষ্টিতে ওভার কমিয়ে ৪৬ করা হয়েছে এবং যখন খেলা শুরু হতে চলেছে, ঠিক তখন যদি বৃষ্টি ফিরে এসে ফের খেলা বন্ধ করে দেয়, তখন ম্যাচটি রিজার্ভ ডে’তে গড়ায়। নতুন দিনে ফের ৫০ ওভারের লক্ষ্যে খেলা শুরু হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১৯তম ওভারের আগে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হলে চার ওভার যদি কাটা যায়, সেক্ষেত্রে দুই দলের লক্ষ্যেই ম্যাচটি ৪৬ ওভার করে হয়ে যায়। এরপর খেলা শুরু হলেও বৃষ্টি যদি ফিরে আসে, তবে রিজার্ভ ডে’তে ৪৬ ওভারেরই ম্যাচ হবে।
এবার বিশ্বকাপে ভারতের সামনে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ। প্রথম পর্বের ৯টি খেলার সবগুলোতেই তারা জিতেছে। সেমিতে আর ফাইনালে জিতলেই তারা হয়ে যাবেন অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার সামনে রয়েছে ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা।
এছাড়া গত আসরের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ডও এবার প্রথম বিশ্বকাপ জিতে দেখাতে পারেন চমক। ভালো ছন্দে রয়েছে তারা। একই সুযোগ রয়েছে ‘চোকার’ খ্যাত সাউথ আফ্রিকার সামনেও। তারাও কখনো জেতেনি বিশ্বকাপ। তবে শেষ পর্যন্ত কাদের হাতে ওঠে বহু আখাঙ্ক্ষিত এই ট্রফি, সেটাই দেখার।