আগামী নির্বাচন কখন হবে, সেই নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে হবে কি না এসব নিয়ে দেশের মানুষের মনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, গণঅভ্যূত্থানের বৃহৎ একটি অংশ চাইছে না আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তারা বলছে সকল বিচার শেষ করে নির্বাচন হবে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগকে কি নির্বাচনে আনা হবে, আওয়ামী লীগ কি নির্বাচন করবে এসব প্রশ্ন রয়েছে মানুষের মনে। তিনি বলেন দেশের নির্বাচনের ভবিষ্যত বিবেচনা করে নির্বাচনের পথ পাড়ি দিতে হবে। অন্যথায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের নির্বাচনের মত আগামী নির্বাচনগুলোও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
ঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে আসে তাহলে নির্বাচনের মাঠের পরিবেশ কি হবে, আবারো কি রক্তপাতের দিকে বাংলাদেশ যাবে? আর এসব প্রশ্ন সকলের মনে থাকলেও কেউ আলোচনা করছে না। তবে আলোচনার মাধ্যমেই এসব প্রশ্নের সুরাহা হওয়া উচিত। বিগত ১৫ বছর বাংলাদেশ একটি বিভাজনের রাজনীতির মধ্যে ছিলো উল্লেখ করে রুমিন ফারানা বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জাতিকে বিভাজিত করে রাখা হয়েছিল। তবে এখন সেই অবস্থার উত্তরণ হচ্ছে। সবাইকে সকলের উর্ধ্বে বাংলাদেশী হতে হবে।
রুমি বলেন, দেশে অর্থনৈতিক স্থবিরতা চলছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ সেভাবে হচ্ছে না। বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল পরিস্থিতি প্রয়োজন। সেদিক থেকে চিন্তা করলে অর্থনৈতিক স্থবিরতা কাটাতে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। তাই আমরা আশা করব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের একটি রোডম্যাপ দেবে যে কী কী সংস্কার কতদিনের মধ্যে সম্পন্ন করে মানুষের ক্ষমতা মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর নানা মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বিঘ্নে দেশ পরিচালনা করার সুযোগ দিতে রাজি না। সে ক্ষেত্রে নির্বাচিত সরকার যেভাবে দেশের সমস্যা মোকাবিলা করতে পারে, সেটি অন্য কোনো সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে দ্রুত একটি নির্বাচন দিলে সকলের জন্যই মঙ্গলজনক হবে।
মতবিনিময় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ. বি. এম. মোমিনুল হক এবং জেলায় কর্মরত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।