• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

যুব এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

bijoy71news
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩
যুব এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

২০১৮ সালে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে হেরে শিরোপার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের যুবাদের। এবার সেই স্টেডিয়ামেই ইতিহাস লিখল নতুন প্রজন্মের যুবারা। ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপের পর আরও একবার বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় সাফল্য এল যুবাদের হাত ধরে। এবার এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি সাক্ষী হলেন জুনিয়র টাইগারদের নতুন কীর্তির। বিজয় দিবসের ঠিক একদিন পর দুবাই থেকে ভেসে এলো দেশের ক্রিকেটের গৌরবমাখা অনন্য অর্জনের খবর। এশিয়া কাপের ফাইনালে আরব আমিরাতকে বাংলাদেশ হারাল ১৯৫ রানের বড় ব্যবধানে। আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক আশিকুর রহমান শিবলির সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশ তুলেছিল ২৮৩ রান। জবাবে আরব আমিরাত অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ৮৭ রানে।
গ্রুপপর্বেও আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৬০ রানে বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে হারিয়েছে টুর্নামেন্টে রেকর্ড আট বারের শিরোপাজয়ী ভারতকে। আসরজুড়ে অপরাজিত থেকে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল জুনিয়র টাইগাররা। ফাইনালে সেই আমেজটা টাইগাররা ধরে রাখল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। একপেশে ফাইনালে কোনো সুযোগই তারা দেয়নি প্রতিপক্ষ আরব আমিরাতকে।

শুরুতে ছিল আশিকুর রহমান শিবলীর ১২৯ রানের ম্যারাথন এক ইনিংস। তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আরিফুল ইসলাম। একজনের রান ৬০, আরেকজন করেছেন ৫০। এরপর বল হাতে গতি আর সুইংয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ-মারুফ মৃধারা। বর্ষণ নিয়েছেন তিন উইকেট। দুই উইকেট নিয়ে জয়ের মিছিলে শামিল হয়েছেন আরেক পেসার ইকবাল হোসাইন ইমন।
৩৫ থেকে ৪৫, ১০ রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারায় আরব আমিরাত। তিনবারই বাংলাদেশের নায়ক বর্ষণ। তার ইনসুইং আর আউটসুইংয়ে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের মিডল অর্ডার। ৪৫ রানে পঞ্চম উইকেটের পরেই বরং কিছুটা প্রতিরোধ দেখায় দলটি। ধ্রুব পরশহার এবং ইয়ায়িন রাই মিলে ১৬ রান যোগ করেন। এজন্য দুজনে খেলেছেন ৫ ওভারের বেশি।

তাদের সেই জুটি ভেঙেছেন ইমন। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ একেবারেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন এই পেসার। ৬১ রানে পতন ঘটে ৭ম উইকেটের। এরপর ৭১ রানে হার্দিক পাইকে ফেরান স্পিনার জীবন। আর ৭২ রানে মারুফের বলে আউট হন আইমান আহমেদ। বাংলাদেশের জয় তখন ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার।

শেষ উইকেটের জন্য খানিকটা সংগ্রাম করতে হয়েছে টাইগার বোলারদের। ধ্রুব প্রতিরোধ করতে চেয়েছেন ১১তে নামা অমিদ রহমানকে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে এসেছে আরও কিছু রান। তবে তাতে ম্যাচের গল্প বদলানো যায়নি। আরব আমিরাত আউট হয় ৮৭ রানে। বাংলাদেশ হয়ে যায় যুব এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে ১ উইকেট হারালেও খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি। দলীয় ১৪ রানের মাথায় জিশানের উইকেট হারানোর পর দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় জুনিয়র টাইগাররা।

চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৫ রানের বড় এক পার্টনারশিপ গড়েন ফর্মের তুঙ্গে থাকা শিবলী। দুজনের এই জুটিই অনেকটা এগিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। দুজনেই রান তোলেন সাবলীল গতিতে। ফিফটির দেখা পান দুজনই। পরে ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেন ওপেনার শিবলী।

২য় উইকেটে বড় জুটি করার পর ৬০ রানে ফিরে যান ওয়ান ডাউনে খেলা রিজওয়ান।

এরপরে ক্রিজে এসে ঝড় তোলেন আরিফুল ইসলাম। শিবলীর সঙ্গে তার জুটি হয় ৮৬ রানের। ৫০ রান একাই নেন আরিফুল। ৩৯ বলে তুলে নেন ফিফটি।

এই জুটি চলার সময় অপর প্রান্তে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন শিবলী। টুর্নামেন্টে এটি তার দ্বিতীয় শতক। ৪৯তম ওভারে গিয়ে আউট হওয়ার আগে করেছেন ঝলমলে ১২৯ রান।

আরিফুল অবশ্য আউট হয়েছেন ফিফটির পরের বলেই। এরপর কিছুটা ধুঁকেছে বাংলাদেশ। আহরার আমিন এবং মোহাম্মদ শিহাব দুজনেই আউট হয়েছেন দ্রুত।

তবে শেষদিকে দ্রুতগতির এক কার্যকরী ইনিংস উপহার দিয়েছেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ১০ বলে ২১ রান করে দলের ইনিংসে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা।

অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই শান্তর সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের লিড ২০৫ সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। তার সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের লিড ২০৫ রানের। সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনটি পুরোটাই নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরুতে দ্রুত কিউইদের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানে ২ উইকেট হারালেও শান্ত ও মুমিনুলের ৯০ রানে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মুমিনুল ৪০ রানে ফিরে গেলেও শান্ত তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। ৬৮ ওভারে ২১২ রান তোলার পর আলো স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২০৫ রান। সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে কিউইদের শেষ দুই উইকেট তু্লে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। ১০ ওভারে রান করেন ১৯। যার মধ্যে টাইগারদের লিড দাঁড়ায় ১২। ১২ রান লিড নিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু লাঞ্চ থেকে ফিরেই ঘটে ছন্দপতন।দলীয় ২৩ রানে এজাজ পাটেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান জাকির হাসান। আউট হওয়ার আগে করেন ৩০ বলে ১৭ রান। জাকির হাসানের পথ ধরে ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়। আগের ম্যাচে ১৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা জয় আজ দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার। সাউদির বলে ড্রাইভ খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, বল বোলারের হাত স্পর্শ করে ভেঙে যায় ননস্ট্রাইকের স্টাম্প। ফলে ৪৬ বলে ৮ রান করে রান আউট কাটা পড়েছেন জয়।তার বিদায়ে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মুমিনুল ও শান্ত। আগের ম্যাচে তাড়াহুড়ো করে খেলতে থাকা শান্ত আজ শুরু থেকেই খেলতে থাকেন দেখেশুনে। এই জুটিতে ভর করে ৩১ ওভারে দলীয় শতক পূর্ণ করে টাইগাররা। তার লিড ১০০ ছাড়ায় ৩৫ ওভারে।৩৮ ওভারে ১১১ রান করে ১০৪ রানের লিড নিয়ে চা পানের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে কিউইদের বিপক্ষে অর্ধশতক তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর আজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ বলে তুলে নেন ৫০ রান। শান্তর পথ ধরে মুমিনুল হকও এগিয়ে যাচ্ছিলেন অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু রান আউটের শিকার হয়ে ৬৮ বলে ৪০ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ১১৬ রানে ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা। মুমিনুলের বিদায়ের পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়েন শান্ত। প্রথম ইনিংসে ১২ রানে সাজঘরে ফিরে যাওয়া মুশি আজ শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন। এই জুটিতে ভর করে ৫৬ ওভারে লিড ১৫০ পূর্ণ করে বাংলাদেশ। কিউইদের বিপক্ষে ৯৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেওযার পর ১৯২ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি।যার মধ্যে রয়েছে ৯ টি চারের মার। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করলেন শান্ত। যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। ৬৮ ওভারে তিনি উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করার পর আলো স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২০৫ রান।