• ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৮শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

টঙ্গী মাঠে হামলার ঘটনা নিয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

bijoy71news
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
টঙ্গী মাঠে হামলার ঘটনা নিয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ উল্লেখ করে ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি তার পোস্টে সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে শান্ত ও ধৈর্য ধারণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা না করে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে তিনি গতকাল রাতের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেন।

তিনি লেখেন, সাদ-সমর্থিত ‘সচেতন ছাত্র সমাজের’ দেয়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি এবং সকাল ১০টার মধ্যে মাওলানা সাদের ভিসার জন্য বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণার কারণে তারা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সাদপন্থীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য টঙ্গীতে যান। সেখানে আলোচনা শেষে তারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। মাওলানা সাদের ভিসা–জটিলতা নিরসনে পুনরায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে তারা টঙ্গী ময়দানে জোরের শর্ত দেন এবং ২৫ তারিখ মাঠ ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দেন। টঙ্গীতে এই তিন বিষয়ে আলোচনা হয়।

হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, আলোচনায় তারা এটাও স্পষ্ট করেন, এগুলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। এ বিষয়ে কাকরাইলে মাওলানা জুবায়ের ও ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সে পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে হবে।

এই উদ্দেশ্যে তারা দিবাগত রাত ২টায় কাকরাইলে আলোচনার জন্য যান। সেখানে মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মামুনুল হকসহ অন্যান্য আলেম উপস্থিত ছিলেন। সেখানে পৌঁছানোর পর সাদপন্থীদের একজন মুফতির একটি পোস্ট তাদের দৃষ্টিগোচর হয়। যেখানে খণ্ডিত ভিডিও প্রচার করে বলা হয়েছে, তারা নাকি তাদের (সাদপন্থী) জোর করার অনুমতি দিয়েছেন। এটি তাদের সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ বিপরীত।

হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, কাকরাইলে আলোচনাকালে সেখানে আলেমদের উপস্থিতিতে তারা তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে তারা কোনো কর্তৃপক্ষ নন। তারা আলোচনা করে কাকরাইল থেকে টঙ্গীতে গিয়ে কথা বলবেন। এরপর পারস্পরিক মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘আলোচনার মধ্যেও সাদপন্থী ঐ মুফতি সাহেবকে ফোন দিয়ে বলেছি, আপনারা যদি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগে ইজতেমার ময়দানে প্রবেশ করেন, তাহলে আমাদের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক থাকবে না। আমরা কাকরাইলে আলেমদের উপস্থিতিতে সাদপন্থীদের আরও বলেছি, কোনোভাবেই আপনারা ময়দানে প্রবেশ করবেন না এবং আমাদের নিয়ে যে ভিডিও প্রচার করেছেন, তা মুছে ফেলবেন। কিন্তু এর আগেই এই নির্মম ঘটনা ঘটেছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’

হাসনাত আবদুল্লাহ তার পোস্টে সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে শান্ত ও ধৈর্য ধারণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা না করে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আহ্বান করছি। তাবলিগ একটি দ্বীনি ও ধর্মীয় ইস্যু। এর ফলে আমরা মনে করি, তাবলিগসহ ধর্মীয় সব বিষয়াদি ওলামায়ে কেরামের মাধ্যমেই সুরাহা ও মীমাংসিত হবে।

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লিখেছেন, তবে সমগ্র বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার দায়ভার আমাদের প্রত্যেক নাগরিকের। দেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শান্তিপূর্ণ সমাধান ও অবস্থানের জন্য আমরা সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করে যাব।