১৬ বছরের জঞ্জাল শেষ করতে একমাস লাগেনি, নির্বাচন দিতে কেন দু’বছর লাগবে, অন্তবর্তীকালিন সরকারকে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, যে জাতি এক মাসের মধ্যে ১৬ বছরের জঞ্জাল শেষ করতে পারে, তাড়াতে পারে তাহলে কেন দুই বছর লাগবে নির্বাচন দিতে? আপনি পরশু দিন ভোট দেন দেখবেন চমৎকার নির্বাচন হয়ে গেছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা কচি কাঁচার মেলায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার নাগরিক প্রত্যাশা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, নীড়টা ছোট কিন্তু আকাশটা অনেক বড়। সরকার ছোট কিন্তু দেশের জনগণ অনেক বড়। এটা যদি সরকার মাথায় নেয় তাহলে সকল ঘটনার মীমাংসা তাৎক্ষণিক সম্ভব। যে জাতি এক মাসের মধ্যে ১৬ বছরের জঞ্জাল শেষ করতে পারে, তাড়াতে পারে তাহলে কেন দুবছর লাগবে নির্বাচন দিতে? আপনি পরশুদিন ভোট দেন দেখবেন চমৎকার নির্বাচন হয়ে গেছে। কারণ হাসিনা তো দেশে নাই। হাসিনা থাকলে তার পুলিশ থাকবে। হাসিনা থাকলে তার দোসররা থাকে। হাসিনা নাই খারাপ লোকটাও এখন ভালো হওয়ার চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, ছাত্র যুবক তরুণরা অসাধ্যকে সাধন করেছে। আমরা কেন তাদের ওপর নির্ভর করব না? তারাই নির্বাচনে পাহারা দেবে। দেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, সংস্কারের কথা হচ্ছে। কিসের সংস্কার? চোরেরা লুটেরা যেখানে বসেছিল সেখানেই বসে আছে। এদের সরাতে গেলে তো ১৫ বছর লাগবে। তাহলে ১৫ বছর নির্বাচন হবে না? আগে নির্বাচনটা করেন। জনগণ কম বোঝে না। আপনার রাজনীতি করেননি। আপনাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপনাদের ওপর বিশ্বাসও আস্থা আছে। আপনারা কাজ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশবাসী বিকল্প প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছেন বলে আমি নিজে মনে করি। কারণ তার ব্যক্তিত্ব, উদারতা তার লক্ষ্য, ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে তার ব্যাখ্যা এটাকে এক কথায় চমৎকার ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। তারেক রহমানকে ঠেকানোর জন্য অনেকে চেষ্টা করেছে। বিএনপিকে শেষ করার জন্য অনেকে চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনও লাভ হবে না। দেশবাসী বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। সেই ভোটটা ঠেকায় দেবেন পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ও আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র করার জন্য এটা হবে না।
আয়োজক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক রেজাবুদৌলা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ড. সুকমল বড়ুয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কৃষক দলের নেতা সাদি, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, মোখতার আখন্দ প্রমুখ।