• ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বনাথে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক

bijoy71news
প্রকাশিত জুন ২২, ২০২৪
বিশ্বনাথে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক

প্রথম ধাপের রেশ কাটতে না কাটতেই দ্বিতীয় ধাপের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির শিকার বিশ্বনাথ উপজেলা। গত ১৮ জুন থেকে উত্তর বিশ্বনাথ এলাকায় ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পায়। ইতিমধ্যে উপজেলার ১ নং লামাকাজি ইউনিয়ন, ২ নং খাজাঞ্চি ইউনিয়ন, অলংকারী, রামপাশা, দৌলতপুর, দশঘর ইউনিয়নের ৯৫ শতাংশ এলাকা ব্যাপক বন্যা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এছাড়া দেওকলস ও বিশ্বনাথ ইউনিয়নের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকার ঘর বাড়ি, রাস্তা ঘাট, স্কুল কলেজ পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে আউশ ধানের আবাদ, আশ্রয়ন প্রকল্পের গৃহ ও মাছের খামার সহ বিভিন্ন স্থাপনা।

মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ও উঁচু স্থানে অবস্থান নিয়ে জীবন যাপন করছে। হাজার হাজার মানুষের চুলোয় জ্বলছে না আগুন। শুকনা খাবার আর সরকারি বেসরকারি ত্রাণের উপর নির্ভরশীল এখন মানুষের জীবন। মানুষের খাবার ও থাকার সংকটের পাশাপাশি, গৃহপালিত পশুপাখি ও গোখাদ্যের প্রচন্ড সংকট তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যে।

প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ উপজেলায় বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ব্যাপক হারে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বাড়ি-বাড়ি ও আশ্রয়ন প্রকল্পে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

উজানের ঢল আর ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু হলেও দৃশ্যমান হচ্ছে ব্যাপক ক্ষতির চিহ্ন। পানি কমছে ধীরগতিতে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। উপজেলার একাধিক রাস্তা ঘাট, কালভার্টের এ্যাপ্রোচ, কাঁচা সড়ক, টিনসেডের ঘর সহ নানাবিধ স্থাপনার ক্ষতচিহ্ন দেখে বুঝার উপায় নেই, ক’দিন আগে এসবের অবস্থা ভাল ছিল।

স্থানীয় অনেক সড়কের উপর পানি ও ভাঙ্গনের ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে লামাকাজি ও খাজাঞ্চি ইউনিয়নের কাঁচা পাকা সড়ক গুলো। সুরমা নদী তীরবর্তী উত্তর বিশ্বনাথ আকিলপুর ভায়া লামাকাজি রোডে একাধিক ভাঙ্গনের ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, নয়াবন্দর বিশ্বনাথ রোড, হোসেন পুর মুফতি বাজার ভায়া বাওনপুর রোড, বিশ্বনাথ লামাকাজি আরএইচডি রোড, বৈরাগী বাজার সিংগেরকাছ রোড, গোলচন্দ ভুরকী বাজার ভায়া মুন্সিরগাঁও বাংলাবাজার রোড সহ একাধিক পাকা সড়ক।

ঘনঘন বন্যায় আক্রান্ত হওয়া আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিয়ে বাড়তি শংকা, উদ্বেগ আর করণীয় স্থির করতে এখন বোদ্ধা মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনার।

পাঁচ দিন যাবত উপজেলায় বন্যার চলমান তান্ডবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখন নির্ধারণ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাইদ। তাঁরা বলেন; পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিয়ে আমরা কাজ শুরু করছি। পানি নেমে যাওয়ার পর সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ প্রকাশ করা হবে।