• ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

লংকানদের রান উৎসব ম্যাচে চরম ব্যর্থ টাইগারদের

bijoy71news
প্রকাশিত মার্চ ২৫, ২০২৪
লংকানদের রান উৎসব ম্যাচে চরম ব্যর্থ টাইগারদের

সিলেটে প্রথম টেস্টে পরাজয়ের প্রহর গুনছে বাংলাদেশ। লংকান ব্যাটসম্যানদের রান উৎসবের ম্যাচে চরম ব্যর্থ টাইগাররা। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের জোড়া সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলংকা অলআউট হওয়ার আগে তোলে ৪১৮ রান। বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দেয় ৫১১ রানের। জবাবে তৃতীয় দিন শেষে টাইগাররা ৪৭ রান তুলতে হারিয়েছে পাঁচ উইকেট। জয় দূরের পথ। চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ কতক্ষণ টিকে সেটাই বড় প্রশ্ন।

একই উইকেট। অথচ দুই দলের পারফরমেন্সে কতো পার্থক্য! হোম ভেন্যু বাংলাদেশের। অথচ সিলেটের গ্রিণটপের ফায়দা পুরোটাই নিয়েছে শ্রীলংকা। যে উইকেটে লংকানদের রান উৎসব, সেখানেই কিনা টাইগার ব্যাটসম্যানদের রান তুলতে জীবন ওষ্ঠাগত।

জিততে হলে টপকাতে হবে ৫১১ রানের পর্বত। হাতে আছে আড়াই দিন। যদিও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের তৃতীয় দিনেই খেলা শেষ করার তাড়া। রানের খাতা খোলার আগেই আউট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত নেতৃত্বে দিলেন সাঁজঘরে ফেরার মিছিলে।

বিশ্ব ফার্নান্দোর পেস তোপে দিশেহারা টাইগার ব্যাটিং স্পেশালিস্টরা। জাকির হাসান ১৯ রান করলেন ওয়ানডে স্টাইলে মাত্র ২২ বলে। শাহাদাত হোসেন দীপু কিংবা অভিজ্ঞ লিটন দাস, কারো ব্যাটিংয়ে নেই পরিকল্পনার ছাপ। প্রথম বলেই বলকে পাঠাতে চাইলেন লিটন। নিজেই হলেন মাঠ ছাড়া। ৩৭ রানে পাঁচ ব্যাটসম্যান ড্রেসিংরুমে। অভিজ্ঞ মুমিনুল হক ও তাইজুল টিকে আছেন লজ্জা এড়ানোর মিশন নিয়ে।

দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতে দ্রুত উইকেট নিয়ে কামব্যাকের আশা জাগিয়েছিলো বাংলাদেশ। ৫ উইকেটে ১১৯ রানে তৃতীয় দিনের শুরু লংকানদের। দ্রুত ষষ্ঠ উইকেট তুলে নিলেন পেসার খালেদ আহমেদ।

বাংলাদেশের সাফল্য সেখানেই শেষ। টাইগারদের পাড়ার বোলারের কাতারে নামিয়ে আনলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ম্যাচটা স্বাগতিকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। সপ্তম উইকেটে দুজনের জুটি ১৭৩ রানের। ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০৮ রান।

কামিন্দু মেন্ডিসও পেয়েছেন জোড়া সেঞ্চুরির দেখা। প্রথম ইনিংসে ১০২, এবার আরো বেশি সংহারি রূপ তার। বড় স্কোর গড়তে সাহায্য করেছেন বাংলাদেশের বোলার ও ফিল্ডাররা। এই ম্যাচের আগে সেঞ্চুরি ছিলোনা, কামিন্দুর নামের পাশে এখন দুটি সেঞ্চুরি। নামের পাশে লেখা হয়েছে ক্যারিয়ার সেরা ১৬৪। মিরাজের চার উইকেট শিকার কোন কাজেই আসেনি। ৪১৮ রান তুলে ম্যাচটা অনেকটাই নিজেদের করে নিয়েছে শ্রীলংকা।