সিলেটের মানচিত্র ডেস্ক
শেষ পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের চার শরীক দলকে মোট ১৯ আসনে ছাড় দিয়েছে জোটের বৃহত্তম দল বিএনপি। এরমধ্যে ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম পেয়েছে ৭ আসন, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য ও আ স ম রবের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলকে (জেএসডি) ৫টি করে আসন দিয়েছে বিএনপি। এছাড়া কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ পেয়েছে ২ আসন।
শনিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মাইকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সাত আসনে গণফোরামের প্রার্থীরা হলেন, ঢাকা-৬ আসনে সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা-৭ আসনে মোস্তফা মহসিন মন্টু, ময়মনসিংহ-৮ আসনে এএইচএম খালিকুজ্জামান, হবিগঞ্জ-২ আসনে রেজা কিবরিয়া, পাবনা-১ আসনে অধ্যাপক আবু সাইদ, কুড়িগ্রাম-৫ আসনে আমছা আমিন, মৌলভীবাজার-২ সুলতান মনসুর।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন। এছাড়া দলটির হয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এসএম আকরাম, রংপুর-৫ মোফাখখারুল ইসলাম নবাব, রংপুর-১ শাহ মো. রহমতউল্লাহ ও বরিশাল–৪ কে এম নুরুর রহমান ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন।
জেএসডির মনোনয়নপ্রাপ্তরা হলেন-লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে আ স ম আব্দুর রব, কুমিল্লা-৪ আসনে আব্দুল মালেক রতন ও ঢাকা-১৮ আসনে শহিদুল উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনেও জেএসডির প্রার্থী লড়বেন বলে জানানো হয়েছে। তবে তার নাম ঘোষণা করা হয়নি।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর দলের পক্ষ হয়ে লড়বেন তার মেয়ে ব্যারিস্টার কুড়ি সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৮)। অপর আসনটি টাঙ্গাইল-৪। এ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে দু’জন প্রার্থী আছেন। একজন কাদের সিদ্দিকীর ভাই আজাদ সিদ্দিকী অপরজন ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী। এদের মধ্যে যেকোনো একজন ধানের শীষ প্রতীক পাবেন। এটা রোববার (৯ ডিসেম্বর) সিদ্ধান্ত হবে।