• ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট ফ্লাইট মারা গেছেন

bijoy71news
প্রকাশিত জুলাই ২১, ২০২৫
বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট ফ্লাইট মারা গেছেন

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির মারা গেছেন। তিনি পাবনা ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। এক বছর আগেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।

সোমবার (২১ জুলাই) সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আইএসপিআরের তরফ থেকে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের বন্ধু সাইয়েদ আব্দুল্লাহও এ খবর জানিয়েছেন।

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯-এ। আর আহত হয়েছেন ১৬৪ জন। ফায়ার সার্ভিস থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

তার মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে ২ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২ জন, উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে নিহত ২ জন এবং উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে একাধিক সূত্রে।

বিমান বিধ্বস্তের পর থেকে আহতদের জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক মেডিকেলসহ হাসপাতালগুলোতে নেয়া হয়েছে। কারও কারও অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অনেকের শরীর ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে।

এর আগে, বেলা ১টা নাগাদ বিমানটি আছড়ে পড়ে। এটি বিমান বাহিনীর F-7 BGI (701) মডেলের বলে জানা গেছে। বিধ্বস্ত হওয়ার সাথে সাথে প্রশিক্ষণ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এর পরপরই ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট এবং তাদের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর সদস্যরা সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু করে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির যে ভবনটিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, সেই ভবনে তখন স্কুলের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছিল বলে জানা গেছে।

জুনিয়র সেকশনের ওই ভবনে নার্সারি, ওয়ান, টু, থ্রি— এসব শ্রেণির ক্লাস হয়। যুদ্ধবিমানটি সরাসরি ভবনে আঘাত করে। ভবনটিতে ১০০-১৫০ শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা যাচ্ছে। স্কুল শাখায় তখন নার্সারি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলমান ছিল। স্কুল ছুটির আগ মুহূর্ত বা ছুটি হবে হবে, এইরকম সময়ে এই দুর্ঘটনাটা ঘটেছে।