• ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু শারদীয় দুর্গোৎসব

bijoy71news
প্রকাশিত অক্টোবর ১৫, ২০১৮

বি৭১নি ডেস্ক : দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্ম্বালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। সোমবার ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে দুর্গার মূল প্রতিমায় পূজা শুরু হয়েছে। আগামী শুক্রবার বিজয়া দশমী পর্যন্ত ঢাকের বাদ্যে মুখরিত থাকবে পূজামণ্ডপগুলো।

পূজারি ও ভক্তরা উদ্বেলিত হবেন দেবী মহামায়ার অধিষ্ঠানে। সবাই শামিল হবে পৃথিবীর সব অসুরিক শক্তির বিরুদ্ধে বিজয় ও মানুষের কল্যাণ প্রতিষ্ঠার প্রার্থনায়।

পূজাকে আনন্দমুখর করতে দেশজুড়ে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সারাদেশে এখন বইছে উৎসবের আমেজ। ঢাক-ঢোল কাঁসা এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মণ্ডপ।

রামকৃষ্ণ মিশনের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, সোমবার ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে কল্পারম্ভ এবং বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে উৎসবের প্রথম দিন ষষ্ঠী পূজা হয়। এদিন সকাল থেকে চণ্ডীপাঠে মুখরিত থাকবে সকল মণ্ডপ।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার মহাসপ্তমী পূজা হবে ভোর ৬টায়। বুধবার মহাঅষ্টমীর পূজা হবে সকাল ৯টায় এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারি পূজা। সন্ধিপূজা শুরু হবে দুপুর ১২টা ৫৬ মিনিটে।

বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে নবমী পূজা। পর দিন শুক্রবার সকাল ৭টায় পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন হবে সকাল ৮টায়। পরে প্রতিমা বিসর্জন ও শান্তিজল গ্রহণের মধ্যদিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসব।

রামকৃষ্ণ মিশনের মৃদুল মহারাজ বলেন, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোটক (ঘোড়ায়) চড়ে কৈলাশ থেকে মর্ত্যালোকে (পৃথিবী) আসবেন। এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, রোগ, শোক হানাহানি মারামারি বাড়বে। অন্যদিকে কৈলাশে (স্বর্গে) বিদায় নেবেন দোলায় চড়ে। যার ফলে জগতে মড়ক ব্যাধি এবং প্রাণহানির মতো ঘটনা বাড়বে।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, দুর্গাপূজা জাতীয় বড় উৎসবগুলোর একটি। এবার পূজায় কোনো ধরনের শঙ্কা কিংবা নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তবু সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই উৎসবকে ঘিরে সমন্বিত ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এবার ঢাকা মহানগরীতে ২৩৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে ৯টি সবচেয়ে বড় মণ্ডপ। এগুলো হলো- ঢাকেশ্বরী মন্দির, রামকৃষ্ণ মঠ, কলাবাগান পূজামণ্ডপ, বনানীর মণ্ডপ, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, রমনা কালী মন্দির, উত্তরা সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট সমাজকল্যাণ সংঘ ও বসুন্ধরা সার্বজনীন পূজামণ্ডপ। এই নয়টি মণ্ডপসহ সকল মণ্ডপেই কয়েকস্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি জানান, এবার সারাদেশে ৩১ হাজার ২৭২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর রাজধানী ঢাকাতে এবার পূজা হচ্ছে ২৩৪টি মণ্ডপে। গত বছর সারাদেশে ২৯ হাজার ৭৪টি মণ্ডপে এই পূজা হয়েছিল।

বি৭১নি/জেএ/বিনিডে