আজ ১ অক্টোবর থেকে কোনো সুপারশপে পলিথিন ব্যাগ রাখা যাবে না। এর পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে পাট বা কাপড়ের ব্যাগ। প্রথমে ঢাকার ১০টি কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যবহার বন্ধে কার্যক্রম শুরু হবে। দেশব্যাপী পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পূর্বনির্দেশনা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
এর আগে, সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখ পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় পলিথিন ব্যাগ বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারশপে কোনো ধরনের পলিথিন বা পলিপ্রপাইলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না। একইসঙ্গে ক্রেতাদের দেওয়া যাবে না।
সুপারশপের আউটলেটের ম্যানেজাররা জানান, তারা এরই মধ্যে শপের বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। তাদের যে টিস্যু ব্যাগ, জালি ব্যাগ ছিল সেগুলো সরিয়ে নিয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাটের তৈরি বিভিন্ন আকৃতির ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। যার মূল্য ৬টাকা থেকে ১৭ টাকা পর্যন্ত। কাস্টমারদের সেগুলো কিনে নিতে হবে।
এর আগে, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর বিধান অনুসারে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০২ সালের ১ মার্চ সরকার বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সেই সময় পরিবেশ অধিদপ্তর শর্তসাপেক্ষে সব রকমের পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রি, মজুদ ও বিতরণ নিষিদ্ধ করে। ২০০২ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে ৯৩১ টন পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। ৫২টি কারখানা উচ্ছেদ করা হয়েছে।