• ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৮শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জগন্নাথপুরে বন‌্যার পা‌নিতে ত‌লিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক

bijoy71news
প্রকাশিত জুন ১০, ২০২৪
জগন্নাথপুরে বন‌্যার পা‌নিতে ত‌লিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।  এ উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, কয়েকদিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা ও নলজুর নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলার জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়ক, লাউতলা-রসুলগঞ্জ সড়কসহ বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে গেছে।

ফলে উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের আলাগদি, জালালপুর, খানপুর, আলীপুর, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বাজার, রানীনগর, নোয়াগাঁও, আলমপুর, রৌয়াইল, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের ভুরাখালি, দাসনোয়াগাঁও, গাদিয়ালা, বেরী, জগন্নাথপুর পৌরসভার যাত্রাপাশা, শেরপুর, পশ্চিম ভবানীপুর, কলকলিয়া ইউনিয়নের শ্রীধরপাশা, জগদীশপুর, কামারখাল, গলাখাইসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।রানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আলাল মিয়া বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারের একাংশ তলিয়ে গেছে। এতে করে ক্রেতারা দোকানে আসতে পারছেন না। এতে ঈদের বাজারে আমাদের লোকসান হচ্ছে।

চিলাউড়া-হলিদপুর ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহেদ মিয়া বলেন, আমাদের এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। অনেকের বাড়িতে পানি উঠায় তারা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ইছগাঁও গ্রামের মির্জা রিপন মিয়া বলেন, জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তিনদিন ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে।

জগন্নাথপুরের ইউএনও আল-বশিরুল ইসলাম বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাসহ জরুরি যোগাযোগে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে তবে হাওরগুলোতে পানি প্রবেশ করায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।