• ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

গ্রেফতার সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান হাসপাতালে

bijoy71news
প্রকাশিত অক্টোবর ৫, ২০২৪
গ্রেফতার সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান হাসপাতালে

প্রেফতার সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মান্নান কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে তিনি অসুস্থ বোধ করলে তাকে প্রথমে সুনামগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা শনিবার দুপুরে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ তথ্য জানিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, বুকে পেটে ব্যথার কারণে এমএ মান্নানকে শনিবার সকালে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি মানসিক অবসাদেও ভূগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

তবে বিকেল ৪ টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় মান্নান ওসমানী হাসপাতালে এসে পৌছাননি। তবে তার জন্য একটি কেবিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে।

তবে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার হুমায়ুন কবির জানান, এম মান্নান আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। তার চিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য কয়েকজন আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন। এরপর আদালত মান্নানের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এই নির্দেশনার প্রেক্ষিতেই তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন মান্নান। পরদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এরপর থেকে সাবেক এই মন্ত্রী ওই কারাগারেই ছিলেন।

গ্রেপ্তারের পর সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খান জানিয়েছিলেন, ৪ আগষ্ট সুনামগঞ্জে ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় মান্নানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সুনামগঞ্জ শহরে গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর সদর মডেল থানায় একটি মামলা হয়। জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা হাফিজ আহমদ নামের এক ব্যক্তি দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় এম এ মান্নানসহ ৯৯ জনকে আসামি করা হয়। বাদীর ভাই শিক্ষার্থী জহুর আহমদ হামলার ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারের পর মান্নানের মুক্তির দাবিতে তার নিজ এলাকা শান্তিএঞ্জ বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা।