চাকরিতে পুনর্বহালসহ তিন দফা দাবিতে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ জাহাঙ্গীর গেটের সামনে অবস্থান নিয়েছেন গত সরকারের সময়ে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরাও। পরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করেন চাকরিচ্যুত সদস্যরা।
জানা যায়, রবিবার দুপুরে বিক্ষোভকারীদের ছয়জন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। এ সময় আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের দাবি-দাওয়া পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দেন সংশ্লিষ্টরা। আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা। পরে জাহাঙ্গীর গেট মোড়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এদিকে, রবিবার সকাল থেকে চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্লাটফর্ম ‘সহযোদ্ধা’র ব্যানারে তারা এই অবস্থান নেন। এ সময় তাদের ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
তাদের আন্দোলনের ফলে জাহাঙ্গীর গেটের তিন পাশের সড়কে প্রচন্ড যানজট দেখা দিয়েছে। যানবাহনের সারি ঠেকেছে বনানী ছাড়িয়ে জিয়া কলোনি পর্যন্ত। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুল-কলেজ ও অফিসগামী মানুষ।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো চাকরিচ্যুতির সময় থেকে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল করতে হবে; যদি কোনো
সশস্ত্র বাহিনী সদস্যের চাকরি পুনর্বহাল সম্ভব না হয়, তাহলে তাকে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধাসহ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে এবং যে আইন কাঠামো ও একতরফা বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে শত শত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেই বিচার ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে।