• ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

এশিয়া কাপের ইতিহাসে এমনটি ঘটেনি আর

bijoy71news
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮

নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও ভারত-আফগানিস্তানের ম্যাচ ছড়ালো চরম উত্তেজনা। আফগানদের বিপক্ষে ভারতকে দিতে হলো কঠিন পরীক্ষা। যে পরীক্ষায় উতরাতে পারেনি আগেই এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করা ভারত। চরম নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে কেউ জেতেনি, টাইয়ে শেষ হয়েছে ভারত-আফগান লড়াই।

এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘটলো এমন ঘটনা। এরআগে এশিয়া কাপে আর কোনো ম্যাচ টাই হয়নি। একইসঙ্গে এই এশিয়া কাপের এই প্রথমবারের মতো জয় বঞ্চিত থাকলো ভারত।

মোহাম্মদ শাহজাদের ১২৪ রানের ওপর ভর করে আফগানিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে করেছিল ২৫২ রান। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৯.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ভারতের স্কোরও হয় একই, ২৫২। তাই টাইয়ে শেষ হয় ম্যাচটি।

শেষ ২ বলে জয়ের জন্য ১ রান দরকার ছিল ভারতের। স্ট্রাইকে থাকা রবীন্দ্র জাদেজা সেটা পারেননি। রশিদ খানের বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আউট হয়ে গেলে দুই দলের স্কোর হয় সমান। জাদেজা হতাশায় মাথা নিচু করলেও আফগানদের কাছে এই টাই জয়ের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। শক্তিশালী ভারতকে জিততে না দেওয়া বলে কথা!

২৫৩ রানের লক্ষ্যে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন লোকেশ রাহুল ও আম্বাতি রাইডু। নিয়মিত ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের অভাব টের পেতে দেননি তারা। উদ্বোধনী জুটিতে ১১০ রান যোগ করে শক্ত ভিত গড়েন রাহুল-রাইডু। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ইনিংস সাজিয়েছেন রাইডু। ৪৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করার পর অবশ্য খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে মোহাম্মদ নবীর বলে আউট হয়ে যান। তার আগে ৪৯ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় করেন ৫৭ রান।

আরেক ওপেনার রাহুলও তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। তবে তিনিও ফিফটির পর বেশিদূর যেতে পারেননি। রশিদ খানের ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউ হয়ে থামেন ৬০ রানে। ৬৬ বলের ইনিংসটি সাজান ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায়। এরপরই ধাক্কা খায় ভারত।

ব্যাটিং অর্ডারে উপরে ওঠে এসে চার নম্বরে নামেন অধিনায়ক হিসেবে অনেকদিন পর ফেরা মহেন্দ্র সিং ধোনি। দলের হাল ধরে ভালো একটি ইনিংস খেলার প্রত্যাশা ছিল তার। কিন্তু আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে এলবিডব্লিউয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হয় তাকে। রিভিউ আগেই শেষ হওয়ায় কিছুই করার ছিল না ধোনির। ১৭ বলে মাত্র ৮ রান করে আউট তিনি।

খানিক পর মনিশ পাণ্ডেও ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। নিয়মিত একাদশের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের বিশ্রামে পাওয়া সুযোগটা একেবারেই কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ৮ রানে থামতে হয় আফতাব আলমের বলে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ শাহজাদের গ্ল্যাভসবন্দি হয়ে।

কেদার যাদবকে সঙ্গে নিয়ে ওই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন দিনেশ কার্তিক। কিন্তু দুঃখজনক রানআউট হয়ে কেদার ১৯ রানে ফিরে গেলে চাপ আরও বাড়ে ভারতের। সেটা আরও বেশি করে চেপে ধরে কার্তিকের আউটে। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু আবারও আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার ভারত! ক্যারিবিয়ান আম্পায়ার গ্রিগোরি ব্রাথওয়েটের আরেকটি ভুল সিদ্ধান্তে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয় কার্তিককে। রিভিউ না থাকায় ৪৪ রানে শেষ হয় কার্তিকের লড়াকু ইনিংস।

এরপর জাদেজা চেষ্টা করে গেছেন শেষ পর্যন্ত। দলকে জিতিয়েও দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষে এসে আর পারেননি। ২৫ রানে তিনি আউট হওয়ার পরই ভারত-আফগান ম্যাচ শেষ হয় টাইয়ে।

আফগানদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী ও আফতাব আলম।

অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই শান্তর সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের লিড ২০৫ সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। তার সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের লিড ২০৫ রানের। সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনটি পুরোটাই নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরুতে দ্রুত কিউইদের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানে ২ উইকেট হারালেও শান্ত ও মুমিনুলের ৯০ রানে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মুমিনুল ৪০ রানে ফিরে গেলেও শান্ত তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। ৬৮ ওভারে ২১২ রান তোলার পর আলো স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২০৫ রান। সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে কিউইদের শেষ দুই উইকেট তু্লে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। ১০ ওভারে রান করেন ১৯। যার মধ্যে টাইগারদের লিড দাঁড়ায় ১২। ১২ রান লিড নিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু লাঞ্চ থেকে ফিরেই ঘটে ছন্দপতন।দলীয় ২৩ রানে এজাজ পাটেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান জাকির হাসান। আউট হওয়ার আগে করেন ৩০ বলে ১৭ রান। জাকির হাসানের পথ ধরে ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়। আগের ম্যাচে ১৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা জয় আজ দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার। সাউদির বলে ড্রাইভ খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, বল বোলারের হাত স্পর্শ করে ভেঙে যায় ননস্ট্রাইকের স্টাম্প। ফলে ৪৬ বলে ৮ রান করে রান আউট কাটা পড়েছেন জয়।তার বিদায়ে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মুমিনুল ও শান্ত। আগের ম্যাচে তাড়াহুড়ো করে খেলতে থাকা শান্ত আজ শুরু থেকেই খেলতে থাকেন দেখেশুনে। এই জুটিতে ভর করে ৩১ ওভারে দলীয় শতক পূর্ণ করে টাইগাররা। তার লিড ১০০ ছাড়ায় ৩৫ ওভারে।৩৮ ওভারে ১১১ রান করে ১০৪ রানের লিড নিয়ে চা পানের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে কিউইদের বিপক্ষে অর্ধশতক তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর আজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ বলে তুলে নেন ৫০ রান। শান্তর পথ ধরে মুমিনুল হকও এগিয়ে যাচ্ছিলেন অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু রান আউটের শিকার হয়ে ৬৮ বলে ৪০ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ১১৬ রানে ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা। মুমিনুলের বিদায়ের পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়েন শান্ত। প্রথম ইনিংসে ১২ রানে সাজঘরে ফিরে যাওয়া মুশি আজ শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন। এই জুটিতে ভর করে ৫৬ ওভারে লিড ১৫০ পূর্ণ করে বাংলাদেশ। কিউইদের বিপক্ষে ৯৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেওযার পর ১৯২ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি।যার মধ্যে রয়েছে ৯ টি চারের মার। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করলেন শান্ত। যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। ৬৮ ওভারে তিনি উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করার পর আলো স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২০৫ রান।