• ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

যেসব চ্যানেলে দেখা যাবে এশিয়া কাপ

bijoy71news
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮

আজ বিকেলেই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে এবারের এশিয়া কাপের আসর। এটি এশিয়া কাপের ১৪তম আসর। এবারের আসরে মোট ৬টি দল অংশ নেবে। দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে এবারের দলগুলো খেলবে। ‘এ’ গ্রুপে খেলবে ভারত, পাকিস্তান ও হংকং।‘বি’ শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের সংগে খেলবে বাংলাদেশ।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে হবে এবারের এশিয়া কাপের আসর। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো হতে যাচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। এ আসরের স্পন্সর ইউনিমানি। ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে এশিয়া কাপের।ফাইনাল হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। এর মাঝে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট যুদ্ধ দেখার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

ইতিমধ্যে এশিয়া কাপের ট্রফি উন্মোচন হয়ে গেছে। সেখানে আসতে শুরু করেছে দলগুলো। দেশি চ্যানেলের পাশাপাশি বিদেশি টেলিভিশনেও সরাসরি খেলা দেখা যাবে। এবারের টুর্নামেন্টে ফাইনালসহ মোট ১৩টি ম্যাচ হবে।

প্রতিযোগিতার সব ম্যাচই সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল গাজী টিভি। সেইসঙ্গে ইউটিউবে র‍্যাবিটহোলও খেলাগুলো সম্প্রচার করবে। এ ছাড়া মাছরাঙ্গা ও বিটিভির পর্দায়ও খেলা দেখতে পারবেন বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীরা।

বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের দর্শকদের জন্য খেলাগুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ক, ডিডি ন্যাশনাল (ডিডি ১), ডিডি স্পোর্টস।

যুক্তরাজ্যে দায়িত্ব পেয়েছে স্কাই স্পোর্টস ক্রিকেট। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ফক্স স্পোর্টস, দক্ষিণ আফ্রিকায় সুপার স্পোর্টস, কানাডায় এটিএন ক্রিকেট প্লাস, যুক্তরাষ্ট্রে উইলো টিভিতে দর্শকরা খেলা উপভোগ করতে পারবেন।

মালয়েশিয়ায় অ্যাস্ট্রো ক্রিকেট এইচডি, মধ্যপ্রাচ্যে ওএসএন স্পোর্টস ক্রিকেট এইচডি, সিঙ্গাপুরে স্টার ক্রিকেট এবারের আসরের খেলাগুলো সম্প্রচার করবে।

টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর তালিকা-

বাংলাদেশ- গাজী টিভি, বিটিভি, মাছরাঙ্গা, র‍্যাবিটহোল (ইউটিউব)

ভারত,পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান- স্টার স্পোর্টস, ডিডি ন্যাশনাল (ডিডি ১), ডিডি স্পোর্টস

যুক্তরাজ্য- স্কাই স্পোর্টস ক্রিকেট

অস্ট্রেলিয়া- ফক্স স্পোর্টস

দক্ষিণ আফ্রিকা- সুপার স্পোর্টস

মালয়েশিয়া- অ্যাস্ট্রো ক্রিকেট এইচডি

মধ্যপ্রাচ্য- ওএসএন স্পোর্টস ক্রিকেট এইচডি

সিঙ্গাপুর- স্টার ক্রিকেট

কানাডা- এটিএন ক্রিকেট প্লাস (এশিয়ান টেলিভিশন নেটওয়ার্ক)

যুক্তরাষ্ট্র- উইলো টিভি।

অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই শান্তর সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের লিড ২০৫ সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। তার সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের লিড ২০৫ রানের। সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনটি পুরোটাই নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরুতে দ্রুত কিউইদের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানে ২ উইকেট হারালেও শান্ত ও মুমিনুলের ৯০ রানে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মুমিনুল ৪০ রানে ফিরে গেলেও শান্ত তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। ৬৮ ওভারে ২১২ রান তোলার পর আলো স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২০৫ রান। সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে কিউইদের শেষ দুই উইকেট তু্লে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। ১০ ওভারে রান করেন ১৯। যার মধ্যে টাইগারদের লিড দাঁড়ায় ১২। ১২ রান লিড নিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু লাঞ্চ থেকে ফিরেই ঘটে ছন্দপতন।দলীয় ২৩ রানে এজাজ পাটেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান জাকির হাসান। আউট হওয়ার আগে করেন ৩০ বলে ১৭ রান। জাকির হাসানের পথ ধরে ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়। আগের ম্যাচে ১৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা জয় আজ দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার। সাউদির বলে ড্রাইভ খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, বল বোলারের হাত স্পর্শ করে ভেঙে যায় ননস্ট্রাইকের স্টাম্প। ফলে ৪৬ বলে ৮ রান করে রান আউট কাটা পড়েছেন জয়।তার বিদায়ে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মুমিনুল ও শান্ত। আগের ম্যাচে তাড়াহুড়ো করে খেলতে থাকা শান্ত আজ শুরু থেকেই খেলতে থাকেন দেখেশুনে। এই জুটিতে ভর করে ৩১ ওভারে দলীয় শতক পূর্ণ করে টাইগাররা। তার লিড ১০০ ছাড়ায় ৩৫ ওভারে।৩৮ ওভারে ১১১ রান করে ১০৪ রানের লিড নিয়ে চা পানের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে কিউইদের বিপক্ষে অর্ধশতক তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর আজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ বলে তুলে নেন ৫০ রান। শান্তর পথ ধরে মুমিনুল হকও এগিয়ে যাচ্ছিলেন অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু রান আউটের শিকার হয়ে ৬৮ বলে ৪০ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ১১৬ রানে ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা। মুমিনুলের বিদায়ের পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়েন শান্ত। প্রথম ইনিংসে ১২ রানে সাজঘরে ফিরে যাওয়া মুশি আজ শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন। এই জুটিতে ভর করে ৫৬ ওভারে লিড ১৫০ পূর্ণ করে বাংলাদেশ। কিউইদের বিপক্ষে ৯৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেওযার পর ১৯২ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি।যার মধ্যে রয়েছে ৯ টি চারের মার। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করলেন শান্ত। যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। ৬৮ ওভারে তিনি উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করার পর আলো স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২০৫ রান।