• ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

২৪০ রান করলেই ফাইনালে ভারত

bijoy71news
প্রকাশিত জুলাই ১০, ২০১৯

বি৭১নি ডেস্ক :
প্রথম সেমিফাইনালে বৃষ্টির সম্ভাবনা আগে থেকেই ছিল। অবশেষ তা এলো নিউজিল্যান্ড ইনিংসের শেষ সময়ে। ম্যানচেস্টারে ৪৬ ওভার ১ বল খেলা হওয়ার পর বৃষ্টির কারণে আর মাঠে গড়ায়নি বল। বৃষ্টির জন্য শেষ পর্যন্ত আম্পায়ার খেলা বন্ধ ঘোষণা করেন। বৃষ্টির কথা বিবেচনা করে আগেই রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছিল। এই রিজার্ভ ডে’তে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ২৩৯ রান করে কিউইরা।
গতকাল ৪৬ ওভার ১ বলে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২১১ রান। ক্রিজে ছিলেন রস টেইলর (৬৭) ও টম লাথাম (৩)। আজ বাকি ২৩ বলে তিন উইকেট হারিয়ে ২৮ রান যোগ করেন কেন উইলিয়ামসনরা।
সর্বোচ্চ ৭৪ রান আসে রস টেইলরের ব্যাট থেকে। ৬৭ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র সাত রান যোগ করেই সাজঘরে ফিরে যান এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
গতকাল শুরু থেকেই কড়া বোলিং করে কিউইদের চেপে ধরেন ভারতীয় বোলাররা। গাপটিলের উইকেট দলীয় একরানের মধ্যে তুলে নিলেও পরে অনেক্ষণ উইকেটের দেখা পাননি বুমরাহরা। ধীরে চলো নীতিতে খেলতে থাকা নিউজিল্যান্ডের ১০০ রান করতেই লেগে যায় ২৯ ওভার!
বরাবরের মতো কিউইদের বাঁচান অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। সাজঘরে ফিরে যাওয়ার আগে ৬৭ রান করেন এই কিউই ব্যাটসম্যান। এ ছাড়া নিকোলস করেন ২৮ রান করেন। ভারতের হয়ে ভুবেনশ্বর কুমার সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন বুমরাহ, পান্ডিয়া, জাদেজা ও চাহাল।
ম্যানচেস্টারে এখন ঝকঝকে রোদ। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা পর্যন্ত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। এটা কোহলিদের জন্য বিরাট সুবিধা বটে। কেননা নিউজিল্যান্ডকে যে রানের মধ্যে আটকে রেখেছে এখন পর্যন্ত তা উৎরানো কোনো কঠিন কাজ নয়।
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে উঠে এসেছে ভারত। গ্রুপ পর্বে একমাত্র হার ফেবারিট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আজ মঙ্গলবার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছে ভারত। ম্যানচেস্টারে বাঁচা-মরার এই ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিং করছে ভারত।
বৃষ্টির কারণে যদি খেলা পরিত্যক্ত হয় তাহলে ভারতই ফাইনালে যাবে। আইসিসির নিয়মে বলা আছে কোনো সেমিফাইনাল বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হলে গ্রুপ লিগে যে দলের পয়েন্ট বেশি ছিল, তারা ফাইনালে চলে যাবে। এই নিয়মে ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে ফাইনালে চলে যাবে ভারত। কারণ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে লিগ শেষ করেছে ভারত। অপরদিকে কিউইরা ১১ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বর স্থানে লিগ শেষ করেছে।

অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই শান্তর সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের লিড ২০৫ সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। তার সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের লিড ২০৫ রানের। সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনটি পুরোটাই নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরুতে দ্রুত কিউইদের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানে ২ উইকেট হারালেও শান্ত ও মুমিনুলের ৯০ রানে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মুমিনুল ৪০ রানে ফিরে গেলেও শান্ত তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। ৬৮ ওভারে ২১২ রান তোলার পর আলো স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২০৫ রান। সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে কিউইদের শেষ দুই উইকেট তু্লে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। ১০ ওভারে রান করেন ১৯। যার মধ্যে টাইগারদের লিড দাঁড়ায় ১২। ১২ রান লিড নিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু লাঞ্চ থেকে ফিরেই ঘটে ছন্দপতন।দলীয় ২৩ রানে এজাজ পাটেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান জাকির হাসান। আউট হওয়ার আগে করেন ৩০ বলে ১৭ রান। জাকির হাসানের পথ ধরে ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়। আগের ম্যাচে ১৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা জয় আজ দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার। সাউদির বলে ড্রাইভ খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, বল বোলারের হাত স্পর্শ করে ভেঙে যায় ননস্ট্রাইকের স্টাম্প। ফলে ৪৬ বলে ৮ রান করে রান আউট কাটা পড়েছেন জয়।তার বিদায়ে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মুমিনুল ও শান্ত। আগের ম্যাচে তাড়াহুড়ো করে খেলতে থাকা শান্ত আজ শুরু থেকেই খেলতে থাকেন দেখেশুনে। এই জুটিতে ভর করে ৩১ ওভারে দলীয় শতক পূর্ণ করে টাইগাররা। তার লিড ১০০ ছাড়ায় ৩৫ ওভারে।৩৮ ওভারে ১১১ রান করে ১০৪ রানের লিড নিয়ে চা পানের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে কিউইদের বিপক্ষে অর্ধশতক তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর আজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ বলে তুলে নেন ৫০ রান। শান্তর পথ ধরে মুমিনুল হকও এগিয়ে যাচ্ছিলেন অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু রান আউটের শিকার হয়ে ৬৮ বলে ৪০ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ১১৬ রানে ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা। মুমিনুলের বিদায়ের পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়েন শান্ত। প্রথম ইনিংসে ১২ রানে সাজঘরে ফিরে যাওয়া মুশি আজ শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন। এই জুটিতে ভর করে ৫৬ ওভারে লিড ১৫০ পূর্ণ করে বাংলাদেশ। কিউইদের বিপক্ষে ৯৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেওযার পর ১৯২ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি।যার মধ্যে রয়েছে ৯ টি চারের মার। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করলেন শান্ত। যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। ৬৮ ওভারে তিনি উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করার পর আলো স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২০৫ রান।