• ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

উয়েস্কার বিপক্ষে মেসিদের গোলের বন্যা

bijoy71news
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৮

রোববার ক্যাম্প ন্যুতে গোলের বন্যায় বইয়ে দিয়েছেন লিওনেল মেসিরা। আর সেই বানে ভেসে গেল মেসিদের মাঠে খেলতে যাওয়া উয়েস্কা। লা লিগার খেলায় এদিন দলটিকে ৮-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা। জোড়া গোল করেছেন মেসি ও লুইস সুয়ারেজ। এছাড়া একটি করে গোল পেয়েছেন উসমান ডেম্বেলে, ইভান রাকিতিচ ও জর্ডি আলবা। উয়েস্কার হয়ে গোল করেছেন হার্নান্দেস ও অ্যালেক্স গায়ার।
এদিন শুরুতেই ন্যু ক্যাম্প স্তব্ধ করে দিয়ে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় অতিথিরা। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে গোলটি করেন হার্নান্দেস। তবে গোল হজম করেই দারুণ আগ্রাসী হয়ে ওঠে মেসি-সুয়ারেজরা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান মেসি। ইভান রাকিতিচের বাড়ানো বল দারুণভাবে কাটিয়ে প্রতিপক্ষের জালে ঢোকান এই আর্জেন্টাইন।

এরপর ম্যাচজুড়ে ক্যাম্প ন্যুর দর্শক ও উয়েস্কা দেখল লা লিগার চ্যাম্পিয়নদের গোল উৎসব। আগ্রাসী বার্সেলোনার সামনে পড়ে আত্মঘাতী গোলের শিকার হয়ে বসে অতিথিরা। ম্যাচের ২৪ মিনিটে আলবার নিচু ক্রস ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন উয়েস্কার ডিফেন্ডার হোর্হে পুলিদো। ফলে বার্সেলোনা এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে। ৩৯ মিনিটে আলবার বাড়ানো বল থেকেই গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে ৩-১ এ নিয়ে যান সুয়ারেজ।
তবে ম্যাচের ৪২ মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে ৩-২ তে নিয়ে যান উয়েস্কার স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড গায়ার। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় এই ব্যবধান নিয়েই।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই আবার গোল করার দিকে মনোযোগ দেন বার্সার খেলোয়াড়রা। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে ডেম্বেলে ও ৫২ মিনিটে রাকিতিচ যোগ দেন সেই গোল উৎসবে। ফলে ব্যবধান গিয়ে দাঁড়ায় ৫-২ তে। আর ম্যাচের ৫২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে মেসি। চলতি মৌসুমে লা লিগায় এটি তার চতুর্থ গোল। ব্যবধান দাঁড়ায় ৬-২।
ম্যাচের ৮১ মিনিটে অসাধারণ এক মাইলফলক স্পর্শ করেন মেসি। এই শতাব্দীর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে লা লিগায় ১৫০ গোলে সহায়তা করলেন তিনি। তার পাস থেকেই বার্সার সপ্তম গোলটি করেন আলবা। আর যোগ করা সময়ে স্পট কিক থেকে গোল করে ৮-২ এর জয় নিশ্চিত করেন সুয়ারেজ। উয়েস্কার ডি-বক্সের ভেতর সুয়ারেজ ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় বার্সেলোনা। তবে স্পটকিকটি মেসি নিলে হয়তো হ্যাটট্রিক হতো তার। কিন্তু তা না করে সুয়ারেজকেই গোল করার সুযোগ করে দেন এই আর্জেন্টাইন।

অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই শান্তর সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের লিড ২০৫ সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। তার সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের লিড ২০৫ রানের। সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনটি পুরোটাই নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরুতে দ্রুত কিউইদের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানে ২ উইকেট হারালেও শান্ত ও মুমিনুলের ৯০ রানে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মুমিনুল ৪০ রানে ফিরে গেলেও শান্ত তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। ৬৮ ওভারে ২১২ রান তোলার পর আলো স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২০৫ রান। সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে কিউইদের শেষ দুই উইকেট তু্লে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। ১০ ওভারে রান করেন ১৯। যার মধ্যে টাইগারদের লিড দাঁড়ায় ১২। ১২ রান লিড নিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু লাঞ্চ থেকে ফিরেই ঘটে ছন্দপতন।দলীয় ২৩ রানে এজাজ পাটেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান জাকির হাসান। আউট হওয়ার আগে করেন ৩০ বলে ১৭ রান। জাকির হাসানের পথ ধরে ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়। আগের ম্যাচে ১৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা জয় আজ দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার। সাউদির বলে ড্রাইভ খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, বল বোলারের হাত স্পর্শ করে ভেঙে যায় ননস্ট্রাইকের স্টাম্প। ফলে ৪৬ বলে ৮ রান করে রান আউট কাটা পড়েছেন জয়।তার বিদায়ে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মুমিনুল ও শান্ত। আগের ম্যাচে তাড়াহুড়ো করে খেলতে থাকা শান্ত আজ শুরু থেকেই খেলতে থাকেন দেখেশুনে। এই জুটিতে ভর করে ৩১ ওভারে দলীয় শতক পূর্ণ করে টাইগাররা। তার লিড ১০০ ছাড়ায় ৩৫ ওভারে।৩৮ ওভারে ১১১ রান করে ১০৪ রানের লিড নিয়ে চা পানের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে কিউইদের বিপক্ষে অর্ধশতক তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর আজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ বলে তুলে নেন ৫০ রান। শান্তর পথ ধরে মুমিনুল হকও এগিয়ে যাচ্ছিলেন অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু রান আউটের শিকার হয়ে ৬৮ বলে ৪০ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ১১৬ রানে ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা। মুমিনুলের বিদায়ের পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়েন শান্ত। প্রথম ইনিংসে ১২ রানে সাজঘরে ফিরে যাওয়া মুশি আজ শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন। এই জুটিতে ভর করে ৫৬ ওভারে লিড ১৫০ পূর্ণ করে বাংলাদেশ। কিউইদের বিপক্ষে ৯৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেওযার পর ১৯২ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি।যার মধ্যে রয়েছে ৯ টি চারের মার। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি করলেন শান্ত। যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। ৬৮ ওভারে তিনি উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করার পর আলো স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। তৃতীয় দিন শেষে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২০৫ রান।