• ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানির সময় চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ

bijoy71news
প্রকাশিত অক্টোবর ২৪, ২০২৪
তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানির সময় চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ

তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে বিএনপি, জামায়াত ও সুজনের করা রিভিউ শুনানিতে সময় চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। পৃথক তিন রিভিউ আবেদনের শুনানির বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের কাছে সময় আবেদন করলে ১৭ নভেম্বর শুনানির নতুন দিন ধার্য করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বিভাগ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সময় আবেদন করে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে যথাযথ প্রস্তুতির জন্য চার সপ্তাহ সময় প্রয়োজন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার তিনটি পৃথক রিভিউ আবেদন দায়ের করেন। এই তিন রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।

এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা জন্য আপিল করে এই তিন পক্ষ।

২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে পরবর্তী ১০ম ও ১১তম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আদালত। রায়ে বলা হয়, এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে সংসদে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।

আদালত তার রায়ে বলেন, আপিল বিভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই আবেদনটি গৃহীত হয়েছে। এর মাধ্যমে সংবিধান (ত্রয়োদশ সংশোধনী) আইন ১৯৯৬ এই নির্দেশের পর থেকে অবৈধ ও সংবিধান বহির্ভূত ঘোষণা করা হলো। তবে আইনসম্মত না হলেও (প্রয়োজনের কারণে আইনসম্মত এবং জনগণের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ আইন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ আইন— সুপ্রাচীনকাল ধরে চলে আসা নীতিমালার ভিত্তিতে) দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করা ত্রয়োদশ সংশোধনীর আওতায়ই হতে পারে।

এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতিদের মধ্য থেকে অথবা আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকে একজনকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়ার বিধানটি বাতিল করার পূর্ণ স্বাধীনতাও সংসদের থাকবে। একইসঙ্গে ২০০৫ সালে এ প্রসঙ্গে দায়ের করা লিভ টু আপিলটিও খারিজ করা হলো।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন।