• ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ষণ মামলায়ও জামিন পেলেন মামুনুল হক

bijoy71news
প্রকাশিত জুন ২৬, ২০২৪
ধর্ষণ মামলায়ও জামিন পেলেন মামুনুল হক

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন করেছেন আদালত।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এক হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আবদুর রশিদ।

তিনি জানান, ২৫ জুন সাক্ষীদের জেরার দিন ধার্য ছিলো। সাক্ষীরাও এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু মামুনুল হক অনুপস্থিত থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ার জারি করেন। তবে সেই পরোয়ানার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন তিনি। এক হাজার টাকা বন্ডে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে আদালত মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। সেই সঙ্গে ওই মামলাটির সাক্ষীদের জেরা চলমান ছিলো। তারই অংশ হিসেবে মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর এস এম শফিকুল ইসলামকে চতুর্থ দফায় জেরার দিন ধার্য করা ছিলো।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণা নামে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা খবর পেয়ে এসে নারীর সঙ্গে তাকে ঘেরাও করে রাখেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা গিয়ে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তাণ্ডব চালিয়ে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা মামুনুল হককে নজরদারিতে রাখে।

ঘটনার পনেরো দিন পরে ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়। পরে এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে রিসোর্টে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মামলা করেন ওই নারী। তবে আসামি মামুনুল হক ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করে এলেও তার আইনজীবীরা এখন পর্যন্ত বিয়ের কাবিননামা বা এ সংক্রান্ত বৈধ কোনো তথ্য প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি।

ধর্ষণ মামলার বাদী সাক্ষ্য প্রদানের সময়ও ওই নারী আদালতে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে নিয়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকারও করেছেন। আদালতে তার দেয়া ওই সাক্ষ্য নথিভুক্ত করা আছে। এছাড়া বাদী পক্ষের আইনজীবী আসামি মামুনুল হককে আদালতে জেরা করার সময় মামুনুল হক ওই নারীকে মৌখিকভাবে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেছেন। তবে যার কোনো কাবিননামা তিনি দেখাতে পারেননি। তখন ইসলামি শরীয়তের বিধান অনুযায়ী কাবিননামা ছাড়া মৌখিকভাবে কোনো বিয়ে বৈধ নয় বলেও বাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতে উপস্থাপন করেছেন।