বি৭১নি ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ তার নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমাতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নোয়াখালীতে দুই যুবলীগ নেতা খুনের ব্যাপারে তিনি অভিযোগ করেন, ‘গতকাল দুই আওয়ামী লীগ নেতাকেই বিএনপি খুন করেছে।’ আজ বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রচার কমিটির সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত তিন-চার দিন আমি ঢাকায় ছিলাম না। নোয়াখালী, ফেনী কুমিল্লা ও আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি গিয়েছি। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য এবং স্কুটিনি পর্যন্ত আমি ছিলাম। আজ আমি ফিরেছি। আমি আপনাদের এইটুকু বলতে পারি শুধু শুধু যা সত্য নয় তা প্রচার করে লাভ নেই। কারণ যেটা বাস্তব সেটা সত্যি ৩০ তারিখ আমরা চাপা দিতে পারব না। যখন রেজাল্ট বের হবে তখনই বুঝতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি যা দেখেছি অভূতপূর্ব ও অচিন্তনীয়। এ রকম জনস্রোত আমি এর আগে ২০০৮ সালেও আমি নৌকার পক্ষে যে অঞ্চলে আমি গিয়েছি সেখানে আমি দেখিনি। এটা আসলে গণজোয়ার। এই যে মওদুদ আহমদ সাহেব এত বড় বড় কথা বললেন। তিনি আজকে ১৫ দিন ধরে তার আগে পাঁচ বছরে পৌনে চার বছর এলাকায় যাননি। এখন নির্বাচন এসেছে তিনি যাচ্ছেন, যাবেন। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী না হলে তো নিার্বচন জমবে না।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি যে মওদুদ সাহেবের মনোনয়নপত্রে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল। আমাকে রিলাইঅ্যাবল সোর্স থেকে বলা হয়েছে। আমি কিন্তু জবাবটা এই দিয়েছি মওদুদ সাহেবের ছোটখাটো যদি ত্রুটি থাকে তবে তা ইগনোর করুন। তার মনোনয়নপত্র বৈধ হোক, না হলে আমি কষ্ট যাব।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা না জমলে ইলেকশন জমে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমাতে হবে না জমলে ইলেকশন কিসের। যাক উনি কিন্তু জমাতে পারছে না। বিএনপির ভাঙা হাত কোথাও জমছে না। এটাই সত্য। নোয়াখালী, ফেনী এলাকা, কুমিল্লা এলাকায় কোথাও তাদের কোনো প্রার্থী মাঠেই নেই। উনারা বলছে গণজোয়ার। আমার কাছে বিষয়টা কেমন হাস্যকর লাগছে। এটা গণজোয়ার না গণভাটা।’
এ সময় নোয়াখালীতে যুবলীগের দুই নেতা খুনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গতকাল দুই আওয়ামী লীগ নেতাকেই বিএনপি খুন করেছে। দলটির কাজই হচ্ছে সন্ত্রাসের ট্রেনিং দেওয়া।’