বিশেষ প্রতিবেদন ::
মো. নূরুল হুদা আশরাফী। তিনি কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার। মহানগর পুলিশের সাহসী কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে তিনি একজন। কোতোয়ালি থানা এলাকায় হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মুচন ও ঘাতকদের কৌশলে গ্রেপ্তার করে এসেছেন আলোচনায়। কাজের প্রতি নিবেদিত হওয়ায় নগর পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তাদের প্রিয়পাত্রও আশরাফী। সর্বশেষ শনিবার বেলা পৌনে ৪টায় তাঁর নেতৃত্বে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক নারী কাউন্সিলর শাহারা বেগম শানুর স্বামী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তাজুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে সোহান ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাকিল ওরফে পিচ্চি শাকিলকে। আশরাফীর নেতৃত্বাধীন আরেকটি দল একই দিন (শনিবার) চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করেছে তাজুল হত্যা মামলার আরেক আসামি মিঠু দাসকে। গ্রেপ্তার দুজনই হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। এরআগে টানা ১৩ দিন অনুসন্ধান চালিয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ দিনের মাথায় উদঘাটন করেছেন নগরীর চৌহাট্টায় নির্মমভাবে খুন হওয়া জুনেদ আলী হত্যারহস্য। এক রাতেই তিন ঘাতকে প্রেপ্তার করেছে নূরুল হুদা আশরাফীর নেতৃত্বাধীন একটি বিশেষ দল। একই সাথে পুলিশ উদঘাটন করেছে জুনেদ আলী হত্যার নেপথ্যের পুরো কাহিনি। এর আগে শাহপরান ব্রিজের সম্মুখে খুন হওয়া বিয়ানীবাজার এলাকার এক বৃদ্ধ হত্যারহস্য উদঘাটন করেন তিনি। এ হত্যাকান্ডে জড়িত সকল আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর নেতৃত্বে। নূরুল হুদা আশরাফী কোতোয়ালি থানায় যোগদানের পর অসংখ্য ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করেন। এছাড়া সিলেট মহানগরে ডাকাতি বাড়ার পর তাঁর নেতৃত্বে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালিত হয়। গ্রেপ্তার করা হয় অসংখ্য ডাকাতকে। তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইলফোন উদ্ধার করে মালিককে খোঁজে বের করে তাদের মোবাইলফোনও দিয়েছেন। সর্বশেষ দুটি আইফোন হস্তান্তর করেন প্রকৃত মালিককে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, এসি আসরাফীর অনেক সফলতাই রয়েছে। জুনেদ আলী হত্যাকান্ড, শাহজালাল উপশহরে বিয়ানীবাজারের এক ব্যক্তি হত্যারহস্যও এসি আশরাফী উদঘাটন করেছেন।