নিজস্ব প্রতিবেদক : দাদা, বাবার শ্রম আর ঘাম মিশে আছে বিশ্বনাথ উচ্চবিদ্যালয়ে। দাদার বাড়িতে প্রাথমিকভাবে ১৯৭২ সালে জুনিয়র হাইস্কুল নামে শিক্ষাঙ্গনটির সূচনা ঘটে! ম্যানেজিং কমিটিতে ছিলেন বাবা ও চাচা। এখন সেই কমিটিতে গনতান্ত্রিক নিয়মে নির্বাচিত হয়ে স্থান করেছেন উত্তরসূরির সন্তান। কিন্তু এতে ক্ষুব্ধ কুচক্রি মহল। একটি পক্ষ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না বিদ্যায়লের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত ওই সদস্যকে। তারা প্রকাশ্যে বিরোধীতা না করলেও সেই সদস্যের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালাচ্ছে নানা অপপ্রচার। অপপ্রচারে বিভ্রান্ত ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্বজনেরা। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ বিদ্যালয়ের পুরো ম্যানেজিং কমিটিও। কমিটির দায়িত্বশীলরা বলছেন, কেন কে বা কারা এসব করছে তা বোধগম্য হচ্ছে না! তবে নিঃসন্দেহে এটি নোংরামি ও অপপ্রচার!
স্থানীয় সূত্র জানায়, দেশ স্বাধীনের আগে ও পরে বিশ্বনাথে তেমন কোনো উচ্চবিদ্যালয় ছিলো না।
সূত্র মতে, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদ বারবার বৈঠক করে একটি হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তখন পুরো দেশের মতো যুদ্ধ বিধ্বস্ত ছিলো বিশ্বনাথও। তাই কোথাও উপযুক্ত স্থান ও ভূমিদাতা পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত উপজেলার পাহাড়পুরে শহর উল্লাহর আন্তরিকতায় তাঁর বাড়িতেই অস্থায়ীভাবে স্কুলের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৭৪ সালে বিদ্যালয়টিকে পুর্ণাঙ্গরূপ দিতে পাহাড়পুর থেকে নদীর পশ্চিম পারে অ্যাডভোকেট ছাদ উদ্দিন খান ও স্কুলের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন খানদের অনুদানের জায়গায় স্থাপিত হয় উত্তর বিশ্বনাথ উচ্চবিদ্যালয়।
প্রতিষ্ঠালগ্নে অনেকেই স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন বিনা বেতনে। এদের মধ্যে একজন কামর উদ্দিন খান। অন্যান্য শিক্ষকেরা প্রয়াত।
দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যালয়টি সুন্দরভাবে পরিচালনা করে আসছে স্কুল কমিটি। এই কমিটিতে প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম এবং যে বাড়িতে স্কুলের সূচনা হয়েছিল সেই বাড়ির শহর উল্লাহর ছেলে তেরা মিয়া ও চাচা মরহুম লিলু মিয়ার উত্তরসূরী শামীম আহমদ নিয়মতান্ত্রিকভাবে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে তিনবার সদস্য নির্বাচিত হন। কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয় শিক্ষানুরাগী ও কবি জসীম উদ্দিন খান। রহস্যজনক কারণে রায়হান আহমদ নামক ফেইসবুক আইডি থেকে কমিটির সদস্য শামীম আহমদকে নিয়ে অসংলগ্ন বার্তাপ্রেরণ করা হচ্ছে। যা পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এবং পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনায় ইতস্তবোধ করছেন।
এ ব্যাপারে শামিম আহমদের ছোটভাই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও রাজনীতিবিদ সেলিম আহমদ বলেন, আমার ভাইয়ের যদি কোনো অপরাধ থেকে থাকে কিংবা তিনি কোনো অনিয়মতান্ত্রিক কাজে লিপ্ত থাকেন তাবে বিষয়টি কমিটি দেখ ব্যবস্থ গ্রহণের এখতিয়ার রয়েছে। কিন্তু অকারণে একজন সনামধন্য পরিবারের সদস্যকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করে মানহানি করা আইনগত অপরাধ। যা কোনো বিবেকবান রুচিশীল মানুষের কাজ হতে পারে না। তিনি এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, খুব শীঘ্রই আমরা এ ঘটনায় আইনি প্রদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। যেসকল আইডি থেকে আমার ভাই ও পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে আমার বিশ্বাস সেই সকল ব্যক্তিকে প্রশাসন আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।