রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেছেন, ‘বুদ্ধিজীবীতার ভার বারবার বহন করতে অক্ষম হয়েছি আমরা। দ্রোহ এবং প্রতিষ্ঠিত বিষয় নিয়ে কথা বলা বুদ্ধিজীবীদের কাজ কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য গত এক দশক ধরে বিক্রি হয়ে যাওয়া বুদ্ধিজীবী দেখেছি। যারা কখনো গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার পক্ষে দাঁড়াতে পারেনি।
জুলাই অভ্যুত্থানে যেসব অত্যাচার হয়েছে সেখানে তাদের দায়িত্বের একবিন্দু পর্যন্তও পালন করেনি। কারণ তারা বিক্রি হয়ে গিয়েছিল, তাদের বিবেকবোধ হারিয়ে ফেলেছিল।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদউদ্দিন খান বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে শুধু দিবস পালনের মধ্যে নয় বরং আমাদের কাজের মধ্যে দেশপ্রেমের বাস্তবায়ন করতে হবে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে এদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাবির প্রশাসন ভবন, আবাসিক হল ও অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শহিদ স্মৃতি সংগ্রহশালার পক্ষ থেকে প্রভাতফেরি নিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ ছাড়া আলোচনা সভায় শহিদ সুখরঞ্জন সমাদ্দারে স্ত্রী চম্পা সমাদ্দারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।