• ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

যুবলীগের আহবায়ক লাঞ্ছিত করলেন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিকে! 

bijoy71news
প্রকাশিত অক্টোবর ১৪, ২০২৩

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে দুর্গাপূজার চাঁদা চাওয়ার জের ধরে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক বাবলু রায়ের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মঞ্জু কান্তি রায়কে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। 

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর)  সকালে পৌরশহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সংলগ্ন  মঞ্জু কান্তি রায়ের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এই ঘঠনা ঘটে।তবে বিষয়টি নিয়ে দু’জনেই একে অপরকে দোষারোপ করছেন।

যুবলীগের আহবায়কের দাবী এলাকার মুরব্বিরা সার্বজনীন দুর্গা পুজার চাঁদা চাইতে গেলে মঞ্জু কান্তি রায় তাদের সাথে অসদাচরণ করেন। বিষয়টি জিজ্ঞেস করতে গেলে উনি আবারও পুনরায় অসদাচরণ করেন। এনিয়ে কথাকাটি হয়েছে আর কিছুই নয়৷  আর সহ-সভাপতি বলছেন চাঁদা না দেয়ায় তারা আমার দোকানে  অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাকে মারধোর সহ লাঞ্ছিত করেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় বাবলু রায়ের গ্রামের (সদর ইউনিয়নের বিরাট উজানপাড়া) পুজা উদযাপন কমিটির কয়েকজন সদস্য পৌরশহরে মঞ্জু কান্তি রায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পূজার চাঁদার জন্য যান৷
এ সময় মঞ্জু কান্তি রায় চাঁদা পরে দিবেন বলে জানালে এনিয়ে তাদের মধ্য বাক বিতন্ডা বাঁধে। শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১১ টায় যুবলীগের আহবায়ক বাবলু রায় ও অসীম রায়ের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন লোক  মঞ্জু কান্তি রায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যায়। এ সময় চাঁদার বিষয়টি নিয়ে পুনরায় তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডার বাঁধে। এ সময় বাবলু রায় ও অসীম রায়ের নেতৃত্বে মঞ্জু কান্তি রায়কে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘঠনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়৷

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মঞ্জু কান্তি রায় জানান, বৃহস্পতিবার  বিকালে কয়েকজন পূজার চাঁদার জন্য আমার দোকানে আসেন। আমি চাঁদা পরে দিবো বললে তারা বাকবিতন্ডা বাঁধায়। শুক্রবার সকালে বাবলু ও একই গ্রামের  অসীম রায়ের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন আমার দোকানে প্রবেশ করে আমাকে গালমন্দ ও লাঞ্ছিত করেন৷ আমি এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
যুবলীগের আহবায়ক বাবলু রায় বলেন, বৃহস্পতিবার মঞ্জু কান্তি রাযের দোকানে আমাদের পাড়ার কয়েকজন মুরব্বী পুজার চাঁদার জন্য যান৷ উনি তাদের সাথে অসদাচরণ করেন। শুক্রবার সকালে বিষয়টি উনাকে জিজ্ঞেস করতে গেলে তিনি পুনরায় আমাদের সাথে অসদাচরণ করেন। এ নিয়ে কথাকাটি হয়েছে আর কিছু নয়।

আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ বলেন, পূজার চাঁদা নিয়ে দুজনের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে ।খবর পেয়ে আমরা ঘঠনাস্থলে গিয়েছি।উভয়কে নিয়ে বসে বিষয়টি মিমাংসা করা হবে।