• ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ব্যাডমিন্টনের সম্পাদক লিয়াকতের বিরুদ্ধে ডিসির কাছে অভিযোগ

bijoy71news
প্রকাশিত মার্চ ২৬, ২০২১
ব্যাডমিন্টনের সম্পাদক লিয়াকতের বিরুদ্ধে ডিসির কাছে অভিযোগ

সিলেট জেলা ব্যাডমিন্টন কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেনের বিরুদ্ধে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ব্যাডমিন্টন ও সিলেট জেলা দলের খেলোয়াড় খায়রুল ইসলাম অপু।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এ অভিযোগ দাখিল করেন। এতে অপু উল্লেখ করেন, তিনি ২০১৬ সালে অনুর্ধ্ব ১৯ বালক একেকে রানারআপ ও দ্বৈততে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ২০১২ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ও সিলেট জেলা দলের তালিকাভুক্ত খেলোয়াড়।
অপুর অভিযোগে উল্লেখ করেন, দুঃখজনক হলেও সত্য লিয়াকত হোসেন ব্যাডমিন্টন কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আসার পর থেকে জেলা দলের কোনো ঘোষণা কিংবা খেলোয়াড় নোটিশে তার নাম দেওয়া হয় না। প্রত্যেকবার লিয়াকত হোসেনকে অপু ফোন করে জানতে চান কেন তার নাম তালিকায় নেই। তখনই তিনি ভুলবশত দেওয়া হয়নি বলে অজুহাত দেখান এবং পরবর্তীতে নাম সংযুক্ত করেন। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। আসন্ন ৯ম বাংলাদেশ গেমসে সারা দেশের তালিকাভূক্ত ৬৪ জন মেধাবী খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই ৬৪ জন খেলোয়াড়ের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন প্রকাশ করেছে। তালিকায় খায়রুল ইসলাম অপুর নাম থাকলেও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্যাডে সিলেট জেলা ব্যাডমিন্টন কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন স্বাক্ষরিত তালিকায় অপুর নাম দেওয়া হয়নি।
অপুর অভিযোগ, অজানা কোনো স্বার্থে তার নাম কেটে ফেডারেশন প্রকাশ করা তালিকায় নাম না থাকা এমন খেলোয়াড়দের নামও জেলা ক্রীড়া সংস্থার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছেন লিয়াকত। বিষয়টি লিয়াকত হোসেনকে তাৎক্ষণিক জানান অপু। অতীতের মতো সেই সহজ উত্তর দেন লিয়াকত।
তিনি অপুকে বলেন, তিনি ভুলে নাম তালিকায় দেননি। তখন অপু লিয়াকতকে বলেন, আমার বিষয়টি কেন প্রতিবছর আপনার ভুল হয়? আপনি কী আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ করেন-এমন কোনো প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারেননি তিনি। পরে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে অপু জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত বিচারপ্রার্থী হন।
এ ব্যাপারে লিয়াকত হোসেনকে একাধিক ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তাঁকে অনলাইনে দেখে বার্তা প্রেরণ করা হলে তিনি তা দেখেও উত্তর দেননি।
সাবেক বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন এনামুল হক এনাম বলেন, অপু একজন মেধাবী খেলোয়াড়। জেলা ক্রীড়া সংস্থার তালিকায় তার চেয়ে রেংকিংয়ে পেছনে থাকা খেলোয়াড়দের নাম দেওয়া হয়েছে। অতীতেও তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়। পরে বলার পর তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। একজন মেধাবী খেলোয়াড়ের সাথে কেন বার বার এমন করা হয়-তা আমার বোধগম্য নয়। সর্বশেষ দেশে ব্যাডমিন্টনের সকল আসরে তার উপস্থিতি ছিল। ফেডারেশনের প্রকাশ করা তালিকায় তার নাম থাকাবস্থায় কেন এবারও তার নাম সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার তালিকা থেকে বাদ গেলো-নিশ্চই কোনো রহস্য আছে।
এ ব্যাপারে ব্যাডমিন্টন উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মঈন উদ্দিন মঞ্জু বলেন, বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। অপু ভালো খেলে। কেন বার বার তার বেলা এমনটি ঘটছে? বিষয়টি নিয়ে সিলেট জেলা ব্যাডমিন্টন কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেনের সাথে ব্যাডমিন্টন উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদসহ আলোচনা করা হবে। প্রয়োজনে বিষয়টি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহী উদ্দিন সেলিমের সাথেও কথা বলে সুন্দর একটি সমাধানের পথে যাওয়া হবে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহী উদ্দিন সেলিম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এই বিষয়টি দেখছেন ব্যাডমিন্টন কমিটি। আমি তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি জেনে সুন্দর সমাধান দেবো।