সাকির হোসেন, গোলাপগঞ্জ থেকে
নভেল করোনা ভাইরাস রোগ’টি(কোভিড-১৯) প্রথমে চীনের উহান শহরে চিহ্নিত হয়ে ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীতে বিস্তার লাভ করে। বাংলাদেশে ৮ ই মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন।
সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলায় গত ১লা মে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত উপজেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ৩৯ জন,সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ জন, মোট মৃত্যু ১ জন। উপজেলায় প্রথম লক-ডাউন জারি হওয়ার পর থেকে জনসমাগম অনেকাংশে কমেছে। লক-ডাউনের আওতাভুক্ত নয় এমন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান যেমন: ঔষধের দোকান,মুদি দোকান,কাঁচাবাজার,রেস্টুরেন্ট খোলা রয়েছে।
তবে জনসমাগম কম থাকায় অধিকাংশ রেস্টুরেন্ট ও মুদি দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে।লক-ডাউনের কারণে খেটে খাওয়া মানুষদের বেশী কষ্ট স্বীকার করতে হচ্ছে। এদিকে ব্যবসায়ী সমাজ বলছে, লক-ডাউনে ব্যবসার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে আবার অনেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে সম্মান জানিয়ে বলেছেন,ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার পরও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেলেই ভালো।
ঔষধ দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দোকানসমূহে স্যানিটাইজারের ঘাটতি রয়েছে।
দোকানের কর্মচারীরা জানান, লক-ডাউনের কারণে স্যানিটাইজারের সাপ্লাই বন্ধ রয়েছে।গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)মামুনুর রহমান উপজেলায় খুব জোরালো ভূমিকা পালন করছেন। প্রতিনিয়ত পুলিশ উপজেলার প্রতিটি বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে আর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে প্রতিটি বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে ও করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
তবুও উপজেলায় ধীরে ধীরে বেড়েই চলছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।তবে সঠিক হয়ে সুস্থ নগরীতে রূপদান করবে এটাই জনসাধারণের ধারণা।