• ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের কাছে বাংলাদেশের মেয়েদের হার

bijoy71news
প্রকাশিত আগস্ট ১৮, ২০১৮

ভারতকে আরও একবার হারিয়ে শিরোপা জিতবেন। ধরে রাখবেন সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট। থিম্পুর ফাইনালের আগে বল ছুঁয়ে এমন ধনকুভাঙা শপথই নিয়েছিলেন বাংলাদেশের কিশোরীরা। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালটাকে নিয়েছিলেন আসল পরীক্ষা হিসেবে। কিন্তু সেই আসল পরীক্ষাতেই ‘ফেল’ মেরে বসল টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোতে ‘এ প্লাস’ পাওয়া বাংলাদেশের মেয়েরা। ফল, বাংলাদেশের কাছ থেকে চ্যাম্পিয়ন মুকুট কেড়ে নিল ভারত। বাংলাদেশকে ১-০ গোলে হারিয়ে ভারত নিল ৮ মাস আগের সেই হারের মধুর প্রতিশোধও।

গত বছরের ডিসেম্বরে এই ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে সাফের প্রথম শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের সেই হারের বদলাটা ভারত নিল ঠিক সেই ১-০ গোলেই। ভারতের হয়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটা করেছেন সুনীতা মুন্ডা। ৬৬ মিনিটে।
কর্নার থেকে ভারতের দুজন খেলোয়াড় নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়া করে সামনে এগিয়ে এসে ক্রস করলেন। তা থেকে দারুণ এক ভলিতে বল জালে জড়ালেন মুন্ডা। গোলরক্ষক মাহমুদা চেষ্টা করেও ঠেকাতে পারলেন না। এবারের আসরে এই প্রথম বার বল বাংলাদেশের জালে। তাতেই আঁকা হলো সর্বনাশের চিত্র। শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটটা হাত বদলে তুলে দিতে হলো ভারতের কাছে।

মাথায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নের মুকুট। সঙ্গে টুর্নামেন্টের আগের ম্যাচগুলোতে ঝলসানো পারফরম্যান্স। প্রতিপক্ষদের নিয়ে ছেলেখেলা করে গোল বন্যায় ভাসানো। সবে মিলে থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামের ফাইনালে বাংলাদেশই ছিল পরিস্কার ফেভারিট। সাফের কোনো দল বাংলাদেশকে হারাতে পারে, এই বিশ্বাসটাই যেন উড়ে গিয়েছিল! কিন্তু বাস্তবে হলো সেটাই।
অতি প্রত্যাশার চাপেই কিনা ফাইনালে নিজেদের খেলাটা খেলতেই পারেননি বাংলাদেশের মেয়েরা। বিশেষ করে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের বেশ নার্ভাসই মনে হয়েছে। তার খেসারত দিতে হলো ম্যাচ হেরে! ভারতের কিশোরীরা বুঝিয়ে দিল বাংলাদেশকেও হারানো যায়!
ম্যাচের প্রথমার্ধে স্পষ্টভাবেই তুলনামূলকভাবে ভালো খেলেছে ভারত। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই খেলাটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় বাংলাদেশের মেয়েরা। একের পর এক আক্রমণও করতে থাকে। কিন্তু ফিনিসিংটা ভালো ছিল না। ভারতের রক্ষণ সীমায় গিয়ে বারবারই খেই হারিয়ে ফেলেছেন বাংলাদেশের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়েরা। শটও রাখতে পারেননি লক্ষ্যে।
ফলে গোল আদায় করতে পারেনি। উল্টো খেলার ধারার বিপরীতে গিয়ে ৬৬ মিনিটে ভারতই পেয়ে যায় জয় আঁকানো গোলটি। পাল্টা আক্রমণে যায় ভারত। কর্নার বিনিময়ে আক্রমণ রুখে দেন বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডার। কিন্তু ওই কর্নার থেকেই ঘটে যায় বিপদ।
গোল খাওয়ার পর থেকে বাকি সময়টুকুতে মরিয়া চেষ্টাই করেছে বাংলাদেশের কিশোরীরা। সুযোগও পেয়েছে। কিন্তু দিনটি সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের ছিল না। নয়তো কেন, দুবার বল পোস্টে লাগবে। কেন ফাঁকায় পেয়েও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হবেন মারিয়া।