বিজয় ৭১ ডেস্ক
মহাজোটের কৌশলের কারণেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের আসনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিয়েছে। কোনো কারণে শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট সরে দাঁড়ালে যেন ২০১৪ সালের ৪ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদ সৃষ্টি না হয়, সে জন্যই এ কৌশল নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। এ কারণে শুধু জাতীয় পার্টিই নয়, আওয়ামী লীগের ১৪-দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর জোট থেকে বরাদ্দ করা আসনগুলোর পাশাপাশি আরও কিছু আসনে নিজ নিজ প্রতীকের প্রার্থী দিয়েছে। সব মিলিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের জন্যই মহাজোটের দলগুলোর এত প্রার্থী মাঠে।
দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা অবশ্য এ বিষয়ে প্রকাশ্যে তেমন কিছু বলতে রাজি হননি। তারা জানিয়েছেন, জোটের সিদ্ধান্তের কারণেই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা মাঠে আছেন। জাতীয় পার্টি একটি বড় দল, সারাদেশে তাদের প্রার্থী থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত তালিকায় দেখা গেছে, জাতীয় পার্টির জন্য ২৭টি আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ ওই ২৭টি আসন জাতীয় পার্টির জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। যদিও জাতীয় পার্টির দেওয়া প্রার্থী তালিকায় দেখে গেছে, তারা ২৭টি নয়, ২৯ আসন মহাজোট থেকে পেয়েছে বলে দাবি করছে। পাশাপাশি আরও ১৩২ প্রার্থী উন্মুক্তভাবে নির্বাচনে অংশ নেবেন জাতীয় পার্টি থেকে।
গতকাল সোমবার আরও ১৫ উন্মুক্ত প্রার্থীর সংখ্যা বাড়িয়েছে জাপা। সব মিলিয়ে ভোটের মাঠে জাতীয় পার্টির প্রার্থীসংখ্যা ১৭৬। দিনশেষে জাতীয় পার্টির কজন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে থাকবেন, তা জানা যাবে ভোটের আগের দিন অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বরের আগে। শেষ মুহূর্তে জাতীয় পার্টির অনেক প্রার্থীই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের এক সদস্য আমাদের সময়কে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা অ্যান্টি-আওয়ামী লীগ ভোট পাবে। অর্থাৎ নৌকাবিরোধী ভোটগুলো জাতীয় পার্টির লাঙলে পড়বে। সে জন্য তিনি উন্মুক্ত লড়াইয়ের বিষয়ে ইতিবাচক। তবে বেশ কিছু আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত থেকে গেলে ভোটের হিসাবে ক্ষতি হতে পারে আমাদের। সেসব আসন চিহ্নিত করা হচ্ছে। অচিরেই ওইসব আসনের বিষয়ে জোটগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জাতীয় পার্টির এত প্রার্থীর বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ আমাদের সময়কে বলেন, জোটের বাইরে অনেক শরিকই নির্বাচন করছে। এটা আমাদের জোটগত সিদ্ধান্ত।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, মহাজোটের সঙ্গে আলোচনা করেই জাতীয় পার্টির তালিকা করা হয়েছে। তাই এ নিয়ে মহাজোটে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই।