দিনাজপুরের বোঁচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার আলী নিজের বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মামলা করতে না পেরে উল্টো চেয়ারম্যানের পদ হারিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে তিনি মামলা করতে গেলে একই সময় থানায় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় তাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় তার।
পরে কয়েকশ শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে ঘিরে ধরেন ওই চেয়ারম্যানকে। তাদের তোপের মুখে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের মৌখিক ঘোষণা দেন তিনি। পরে শিক্ষার্থীদের করা মামলায় থানা চত্বরে গ্রেফতার হন আফসার আলী।
শিক্ষার্থীদের করা মামলায় আফসার আলী ছাড়াও সাবেক নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৭০-৭৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। চেয়ারম্যান আফসার বোঁচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করেন। এ সময় আফসার আলীর নির্দেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা করে। তারা শিক্ষার্থীদের মারধর করে গুম করে ফেলার হুমকি দেয় এবং মেয়েদের শ্লীলতাহানি করে। তাদের হুমকি-ধমকির কারণে এলাকার কোনো চিকিৎসাকেন্দ্রে গিয়ে সেবা পর্যন্ত নিতে পারেননি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পক্ষে মামলাটি করেন সেতাবগঞ্জ রেলকোলনী পাড়া মহল্লার মো. ফজল আলীর ছেলে মো. ফয়সাল মোস্তাক।
বোঁচাগঞ্জ থানার ওসি মো. আবু বক্কর সিদ্দিক রাসেল জানান, চেয়ারম্যান আফসারকে ছাত্রদের মিছিলে হামলা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।