• ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

‘বয়স হয়েছে সাংবাদিক সৈয়দ নাহাসের, যৌবন কমেনি কলমের’

bijoy71news
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
‘বয়স হয়েছে সাংবাদিক সৈয়দ নাহাসের, যৌবন কমেনি কলমের’

নুরুল হক শিপু :

“সাংবাদিকতা হবে পক্ষপাতশূণ্য স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য এবং এসব মেনে চলার মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতাকে বজায় রাখতে হবে বস্তুনিষ্ঠতায়। বাংলা ভাষায় তথ্য শব্দটির মধ্যে রয়ে গেছে সত্য রক্ষার বিষয়ও। যা সত্য নয়, তা তথ্য নয়। সুতরাং পৃথকভাবে সত্যতা বা সত্যনিষ্ঠতা রক্ষার বিষয়টি বস্তুনিষ্ঠতার আলোচনায় উল্লেখ না করলেও চলে।”

দীর্ঘ ত্রিশ বছরের উপর তথ্য আর সত্য প্রতিষ্ঠা আর গুণগত সাংবাদিক তৈরিতে নিবেদিত আর নিরলসভাবে কাজ করা কিংবদন্তি এক সাংবাদিক সৈয়দ নাহাস পাশা। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর ব্রিটেনে সাংবাদিকতার মাধ্যমে মাতৃভাষাকে বিলেতের মাটিতে বাঁচিয়ে রাখা এক অগ্রসৈনিক সৈয়দ নাহাস। তাইতো এখানে বসতি গড়া বাঙালি সাংবাদিকদের কাছে তিনি কৃতীপুরুষ। সৈয়দ নাহাস পাশার বয়স হলেও যৌবন কমেনি তাঁর কলমের। নিজের বয়স বাড়ার সাথে সাথে কলমেরও যেনো গতি বেড়েছে।

বিলেতে সৈয়দ নাহাস বাংলা সাংবাদিকতায় অন্যতম এক পুরোধা। এখানের বেশ কয়েকটি বাংলা সংবাদপত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন সম্পাদক হিসেবে। দীর্ঘ সম্পাদনায় তাঁর হাত ধরে অনেক সাংবাদিক সাংবাদিকতার জগতে পা রেখেছেন। এদের অনেকেই আজ প্রতিষ্ঠিত ও খ্যাতিমান সাংবাদিক।

নাহাস পাশা বর্তমানে বিলেতের সবচেয়ে প্রাচীনতম বাংলা জনপ্রিয় কাগজ জনমতের সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও পাঠক নন্দিত অনলাইন গণমাধ্যম বিডিনিউজ২৪.কমের যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বরত।

ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাও সৈয়দ নাহাস। দায়িত্ব পালন করেছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের। লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের এবারের নির্বাচনে শুভাশিসদের চাপে হয়েছেন ফের সভাপতি প্রার্থী। নির্বাচনী মাঠে তাঁকে বিজয়ী করতে তাঁর চেয়ে বেশি ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন সতীর্থরা। সকলেই আশাবাদী বিপুল ভোটে জয় পাবেন বিলেতের প্রবীন এ সাংবাদিক। দুটি প্যানেলের নির্বাচনে উভয় প্যানেলের ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য তিনি।

কমনওয়েলথের ৫৬টি সদস্য-রাষ্ট্রে কর্মরত সাংবাদিকদের আত্মর্জাতিক সংগঠন কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের তিনি নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট। সাংবাদিকতার সুবাদে ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রবাদ-পুরুষ নেলসন ম্যান্ডেলাসহ বিশ্বনেতৃবৃন্দের অনেকের সাথে তাঁর সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে। তিনি ব্রিটিশ হোম অফিস এবং ফরেন ও কমনওয়েলথ অফিসের এডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কারি লাইফ মিডিয়া গ্রম্নপের চীফ এডিটর হিসেবে তিনি চারটি ম্যাগাজিন সম্পাদনা ও প্রকাশনা করে চলেছেন নিয়মিত।
লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠায় সৈয়দ নাহাস পাশা হাতে গোণা কয়েকজন অগ্রসর সাংবাদিকের একজন।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বকালে ক্লাবের ভিত্তি জোরদারে কাজ করেছেন অক্লান্ত। এরপর সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে ক্লাবকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
তিনি সভাপতির দায়িত্বে থাকবস্তায় ক্লাবের নিজস্ব প্রোপার্টি কেনার যাবতীয় কাজ সুসম্পন্ন করেন। যারই ধারাবাহিকতায় সেই প্রোপার্টি কেনা হয়েছে পরবর্তীসময়ে।

যুক্তরাজ্যে বাংলা মিডিয়ার প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবকে যুক্তরাজ্য তথা বৈশ্বিক পরিমন্ডলে মেইনস্ট্রিম মিডিয়া সংগঠনে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেন প্রবীন এ সাংবাদিক।